প্রতীকী চিত্র।
এ বার করোনভাইরাসের হানা শেয়ার বাজারেও। সপ্তাহের শেষ দিনে সকাল থেকেই নিম্নমুখী বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ। শুক্রবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সেনসেক্স ১১৫৫ পয়েন্টের বেশি পড়ে পৌঁছে যায় ৩৮ হাজারের ঘরে। প্রায় সাড়ে তিনশো পয়েন্ট পড়ে নিফটি পড়ে নেমে যায় ১১ হাজারের ঘরে।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের আতঙ্কের জেরেই এই পতন বলে জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ মহামারির আকার নিতে পারে। তাই বিভিন্ন প্রকল্প থেকে হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা, তার ফলেই এই ধাক্কা। অক্টোবরের মাঝামাঝির পর থেকে এটাই সেনসেক্সের সব থেকে বড় পতন।
প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই এই ধাক্কার প্রভাব দেখা গিয়েছে। সব থেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছে, ব্যাঙ্কিং, অটোমোবাইল, ধাতু, খনিজ তেল ও গ্যাস সেক্টরের শেয়ারগুলি। বেশি ক্ষতি হয়েছে টাটা মোটরস, হিন্দালকো, টাটা স্টিল, ভেদান্ত, টেক মহিন্দ্রা, জেএসডব্লু এবং বাজাজ ফিনান্সের মতো শেয়ারগুলি। এই শেয়ারগুলিতে ৩.৮৪ শতাংশ থেকে ৬.২৩ শতাংশ পর্যন্ত পতন হয়েছে। তবে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং ইনফোসিসের শেয়ারে।
আরও পড়ুন: ভিডিয়োর চক্করে বরফ জলে ডুবে ‘মরতে বসেছিলেন’ যুবক!
২০০৮ সালে বিশ্বমন্দার পর থেকে ইকুইটি সেক্টর সব থেকে খারাপ অবস্থা এই সপ্তাহে। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বিনিয়োগকারিরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। উপরন্তু বিনিয়োগ করা টাকাও তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: চাঁদার তিন কোটি টাকায় ডিজনিল্যান্ড যাবে না সহপাঠীদের নির্যাতনের শিকার কোয়াডেন!
এদিন চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার শেয়ার মার্কেটেও ভারি ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই বছর জাপানে অলিম্পিকের আসর বসার কথা। কিন্তু করোনার কারণে তা বাতিল হতে পারে বলে গুজব ছড়ায়। তার জেরে জাপানের সূচক নিক্কেই এদিন প্রায় ৩.৩ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসের জেরে গোটা বিশ্বের বাজারেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।