দিশার অপেক্ষায় বৈদ্যুতিক গাড়ি

বৈদ্যুতিক গাড়ি আনার ক্ষেত্রে সংস্থাগুলি যে লক্ষ্যই নিক, পেট্রোল-ডিজেলের বদলে সেগুলি রাস্তায় নামানোর আগে সকলেই চায় সঠিক দিশা। তাই শিল্পমহল একবাক্যে বলছে, কেন্দ্র নির্দিষ্ট নীতি তৈরি না-করা পর্যন্ত এই গাড়ির ভবিষ্যৎ বাজার সম্পর্কে ধোঁয়াশাই থাকছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:২৩
Share:

কেউ বছর দু’য়েকের মধ্যেই বৈদ্যুতিক গাড়ি আনার কথা বলছে। কেউ চাইছে আসন্ন গাড়ি মেলাতেই এ রকম কিছু মডেল দেখিয়ে তাক লাগাতে। কিন্তু দেশের রাস্তায় আদপে কবে পুরোদস্তুর ছুটবে পরিবেশ সহায়ক চার চাকাগুলি, তা নিয়ে রয়েই যাচ্ছে প্রশ্ন। কারণ বৈদ্যুতিক গাড়ি আনার ক্ষেত্রে সংস্থাগুলি যে লক্ষ্যই নিক, পেট্রোল-ডিজেলের বদলে সেগুলি রাস্তায় নামানোর আগে সকলেই চায় সঠিক দিশা। তাই শিল্পমহল একবাক্যে বলছে, কেন্দ্র নির্দিষ্ট নীতি তৈরি না-করা পর্যন্ত এই গাড়ির ভবিষ্যৎ বাজার সম্পর্কে ধোঁয়াশাই থাকছে।

Advertisement

গত বছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল ও নিতিন গডকড়ী জানিয়েছিলেন, সরকার চায় ২০৩০ সালের মধ্যেই দেশে পুরোপুরি বৈদ্যুতিক গাড়ি চলুক। কিন্তু সেই ভাবনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শিল্পমহলের দাবি, গাড়ির প্রযুক্তিতে বদল আনতে সময় লাগে। লগ্নিও করতে হয় প্রচুর। ফলে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া আচমকা কিছু চালু করা যায় না। যে কারণে গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের প্রস্তাব, কিছু বৈদ্যুতিক গাড়ি আনতে ২০৩০ এবং পুরো চালু করতে ২০৪৭ সালের সময় স্থির হোক।

মারুতি-সুজুকি ও রেনো ইন্ডিয়া, দুই সংস্থাই এই খাতে লগ্নির নির্দিষ্ট নীতির পক্ষে সওয়াল করেছে। যদিও ফরাসি বহুজাতিক রেনোর কিছু বৈদ্যুতিক গাড়ি অটো-এক্সপোয় দেখানোর কথা। যেগুলি ইতিমধ্যেই বিদেশে চলে। তবে সংস্থার শীর্ষ কর্তা সুমিত সাহনির দাবি, ‘‘আমাদের এই প্রযুক্তি রয়েছে। কিন্তু ভারতে তা আনার আগে স্বচ্ছ কেন্দ্রীয় নীতি জরুরি। জানতে চাই চার্জিং স্টেশন-সহ পরিকাঠামো গড়তে সরকার কী সাহায্য করবে।’’

Advertisement

মারুতি-সুজুকির ২০২০ সালে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি আনার কথা। কিন্তু সংস্থার শীর্ষ কর্তা কেনিচি আয়ুকায়াও বলছেন, তাঁরা সরকারি নীতির জন্য অপেক্ষা করছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement