নরেন্দ্র মোদী।
টানা ৮২ দিন জ্বালানির দাম এক রাখার পর গত রবিবার থেকে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়াতে শুরু করেছে তেল সংস্থাগুলি। যার ফলে গত আট দিনে কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে ওই দুই জ্বালানির দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৪.৩৪ টাকা ও ৪.১৮ টাকা। আজ, রবিবার শহরে পেট্রল ও ডিজেলের দাম লিটারে বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৭৭.৬৪ টাকা ও ৬৯.৮০ টাকা। তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। অস্ত্র করেছে তাঁরই করা পুরনো এক টুইটকে।
এ দিন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল জানান, ২০১২ সালে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদী পেট্রলের দর নিয়ে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারকে নিশানা করেছিলেন। মন্তব্য করেছিলেন, ওই জ্বালানির দর ৭১.৪১ টাকায় পৌঁছে যাওয়া আসলে কেন্দ্রের ব্যর্থতা। সিব্বলের বক্তব্য, তখন অশোধিত তেলের দর ব্যারেলপ্রতি ১০৬.৮৫ ডলার থাকলেও, এখন তা মাত্র ৩৮ ডলার। অথচ দেশে পেট্রলের দাম সেই সময়ের চেয়ে বেশি। তেলের দাম বাড়িয়ে ছ’দিনেই বাড়তি ৪৪,০০০ কোটি টাকা আদায় করেছে কেন্দ্র।
বিরোধীদের আরও বক্তব্য, সোমবার থেকে বৃহত্তর ভাবে শিথিল হয়েছে লকডাউন। তার আগে গাড়ি বা গণপরিবহণ সে ভাবে না-চললেও, এখন অনেকটাই চালু হয়েছে। আর ঠিক সেই সময়ে টানা বেড়ে চলেছে জ্বালানির দর। ফলে পরিবহণের খরচও বাড়ছে। যা শেষ পর্যন্ত আমজনতার পকেটেই ছেঁকা দেবে।
এর আগে বিজেপি দাবি করেছিল, তেলের দাম বাড়লে যত হইচই হয়, দাম কমলে তা হয় না। বছরের গোড়াতেই বেশ কিছু দিন দাম কমেছিল। যদিও বিরোধীদের দাবি, অশোধিত তেলের দর ১৫ বছরে এত নীচে নামেনি। কিন্তু সেই সুবিধা জনগণকে না-দিয়ে শুল্ক বাড়িয়ে ৫ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে কেন্দ্র। কেয়ার রেটিংসের হিসেব দিয়ে সিব্বলের দাবি, কেন্দ্র পেট্রল ও ডিজেলের মূল দামের উপরে যথাক্রমে ২৭০% ও ২৫৬% কর আদায় করছে।