—প্রতীকী চিত্র।
অনিয়মিত বর্ষার জন্য এ বছর দেশে চালের উৎপাদন গত বারের তুলনায় ৭-৮ শতাংশ কমতে পারে বলে খবর। ফলে জোগান কমায় দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, ভোটের মুখে খাদ্যপণ্যের দাম কম রাখতে মরিয়া মোদী সরকার তাই চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়াতে পারে। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এ দিনই ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস।
চালের জোগান ঠিক রেখে দাম বৃদ্ধি আটকাতে গত জুলাইয়ে কেন্দ্র বাসমতি ছাড়া অন্য সাদা চালের রফতানি নিষিদ্ধ করে। বিধি-নিষেধ বসেছে অন্যান্য চালেও। পরিসংখ্যান বলছে, তার পরেও চালের দাম বেড়েছে ১৫%। ফলে উৎপাদনে ঘাটতি দামকে কোথায় টেনে তুলবে, সেই প্রশ্ন উঠছে। ভোটের মুখে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অস্বস্তিতে কেন্দ্রও। দাম কমাতে গম রফতানিও নিষিদ্ধ করেছে তারা। নিয়ন্ত্রিত হয়েছে চিনি এবং পেঁয়াজ রফতানি। ডালে তোলা হয়েছে আমদানি শুল্ক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় আধিকারিক জানান, অদূর ভবিষ্যতে তাই চালের রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ তোলার পরিকল্পনা নেই। আন্তর্জাতিক একটি লেনদেনকারী সংস্থার সঙ্গে ষুক্ত দিল্লির এক ডিলার বলেন, নির্বাচন এগিয়ে আসছে। তাই এতটা তৎপর মোদী সরকার। বিশেষত চালের দাম নিয়ে। যা দেশের বড় অংশের প্রধান খাবার।
দেশে খাদ্যপণ্যের দামকে ‘আকাশচুম্বী’ তকমা দিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স-এ লিখেছেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে সরকার বদলের জন্য দেশের মানুষ তৈরি। মোদী সরকারের যে নীতি মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী, বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ক্ষমতায় এলে অবিলম্বে তা বদলাবে। উৎসবের মরসুমে খাদ্যপণ্যের চড়া দর গৃহস্থের সংসার চালানোর বাজেট ওলটপালট করে দিয়েছে বলে এক খবরের প্রেক্ষিতেই ওই মন্তব্য রমেশের। বলেছেন, “যে উৎসব মনে আনন্দ আনে, মোদী সরকারের আমলে তা-ই উদ্বেগ ডেকে এনেছে। কারণ, প্রতিটি অত্যাবশ্যক পণ্যের দর আকাশ ছুঁয়েছে। পেঁয়াজের দাম ৯০% বেড়ে কেজি প্রতি ১০০ টাকার কাছাকাছি। অড়হড় ডাল এক বছরে ৪০% বেড়ে হয়েছে ১৫২ টাকা’’
রমেশের বার্তা, এই বছরই শেষ দীপাবলি, যখন মানুষ মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় জেরবার হচ্ছে। দেশবাসী বর্তমান সরকারের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তাই মনস্থির করেছেন ২০২৪-এ (লোকসভা ভোট) সরকার বদলে দেওয়ার।