Provident Fund Money

পিএফের টাকা তোলা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে রমেশ লেখেন, ২০২২-২৩ সালে পিএফের টাকা তুলতে (চাকরি ছাড়া বা অবসরের পরে) যত আবেদন জমা পড়েছিল, তার ৩৪ শতাংশই বাতিল হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৪ ০৯:৫৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) জমা টাকা ফেরতের বেশির ভাগ আবেদন বাতিল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে বিঁধল কংগ্রেস। এক্স-এ দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, গত ১০ বছর ধরে নানা শ্রেণির মানুষ তাঁদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মহিলা ও যুব সমাজ কাজ পাচ্ছেন না। চাষিরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। শ্রমিকেরাও উপার্জনে হাত দিতে পারছেন না।

Advertisement

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে রমেশ লেখেন, ২০২২-২৩ সালে পিএফের টাকা তুলতে (চাকরি ছাড়া বা অবসরের পরে) যত আবেদন জমা পড়েছিল, তার ৩৪ শতাংশই বাতিল হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে বাতিলের হার ছিল ১৩%। অথচ এই অর্থ কর্মীদের নিজেদেরই উপার্জন। তাঁর অভিযোগ, এ জন্য দায়ী মূলত পিএফের টাকা ফেরত পাওয়ার অনলাইন ব্যবস্থাটির ত্রুটি। ফলে চূড়ান্ত হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে বহু পরিবারকে। হয়রানি ও ক্ষোভ বাড়ছে তাদের। আমলাতান্ত্রিক নীতির জেরে সরকারি সংস্থার থেকে প্রাপ্য টাকা না পেয়ে একজন শ্রমিক আত্মহত্যার পথও বেছে নিয়েছেন।

আর্জি বাতিলের কথা মানলেও পিএফ দফতর সূত্রের অবশ্য দাবি, এর জন্য তারা দায়ী নয়। আবেদনপত্রে ভুলের জন্যই তা বাতিল হয়। এমনিতে আবেদনপত্র জমার ২০ দিনের মধ্যে বাধ্যতামূলক ভাবে দাবির নিষ্পত্তি করতে হয় পিএফ দফতরকে। কিন্তু সূত্র বলছে, আবেদন খারিজ হয় নানা কারণে। যেমন— অনেকে টাকা তুলে নেওয়ার পরেও আর্জি জানান। কখনও পিএফে জমা তথ্যের সঙ্গে মেলে না আবেদনপত্রের তথ্য। আগাম টাকা তোলার আবেদন বাতিল হয় বহু ক্ষেত্রে কর্মীর অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায়। কারণ, আগেই এক বা একাধিক দফায় তা তোলা হয়েছে। প্রায় ৬০% আর্জি বাতিলের জন্য এই কারণগুলিকেই দায়ী করছে পিএফ দফতর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement