ফাইল চিত্র।
আদানি-কাণ্ডে কমিটি গঠন করে তদন্তের ব্যাপারে কেন্দ্র মত দিয়েছে বটে, তবে তাদের শর্ত, সেই কমিটিতে বিশেষজ্ঞদের নির্বাচিত করবে খোদ সরকার। তদন্তের প্রকৃতিও হবে কেন্দ্র নির্দেশিত। এই অবস্থায় বিরোধী কংগ্রেসের বক্তব্য, যৌথ সংসদীয় কমিটি ছাড়া অন্য কোনও পদ্ধতিতে তদন্ত করানো হলে মূল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হবে। অন্য দিকে, সময়সীমা পার হয়ে গেলেও ডিবি পাওয়ারকে অধিগ্রহণ করতে পারেনি আদানি পাওয়ার। বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রককে এই তথ্য জানিয়েছে তারা।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালতের শুনানিতে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে নিজেদের মতামত জানায় কেন্দ্র। এ দিন এক বিবৃতিতে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, ‘‘আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের নৈকট্যের অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় সরকারেরই শর্তে তদন্ত কমিটি তৈরি হলে তার না থাকবে স্বাধীনতা, না থাকবে স্বচ্ছতা।... নিরপেক্ষ তদন্ত করতে না দিয়ে সমস্ত অভিযোগকে চাপা দেওয়ার জন্যই যে সরকার নিয়ন্ত্রিত কমিটি তৈরির চেষ্টা চলছে, তা পরিষ্কার।’’ অতীতেও বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রমেশ।
অন্য দিকে, গত বছরের অগস্টে ৭০১৭ কোটি টাকায় ডিবি পাওয়ার অধিগ্রহণের পরিকল্পনা ঘোষণা করলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেনদেন সম্পূর্ণ করতে পারল না আদানি পাওয়ার। এই নিয়ে মোট চার বার এই প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হল তারা। তবে কেন তা করা গেল না কিংবা সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে কি না, সে ব্যাপারে কোনও তথ্য জানায়নি সংস্থাটি।