মাধবী পুরী বুচ। —ফাইল চিত্র।
গত শুক্রবার প্রায় এক মাস পরে মুখ খুলে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিয়েছিলেন শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র কর্ণধার মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচ। সোমবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও প্রথমবার এ নিয়ে বলেন, ওই দু’জন আত্মপক্ষ সমর্থনে ও বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিতে বিবৃতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার দু’পক্ষের বক্তব্য নিয়েই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, মাধবীদের জবাব আরও অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাঁরা যে সব লেনদেনের ‘তথ্য’ দিয়েছেন, কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত তার বিরোধিতা করেনি কেন, তা-ও জানতে চেয়েছেন তিনি।
কখনও আদানিদের শেয়ারে কারচুপি করেছে বলে অভিযোগ যে বিদেশি তহবিলের বিরুদ্ধে, তাতে মাধবীদের লগ্নি থাকার কথা সামনে এসেছে। কখনও আবার সেবির মাথায় থাকাকালীনই একাধিক এমন সংস্থার থেকে তাঁর আয়ের অভিযোগ উঠেছে, যেখানে স্বার্থের সংঘাত স্পষ্ট। টানা এই নিয়েই আক্রমণ শানাচ্ছে কংগ্রেস। মাধবীকে নিয়োগ করা নিয়ে বিঁধছে মোদী সরকারকেও। প্রশ্ন তুলছে তাদের মুখে কুলুপ আঁটা নিয়ে। এই অবস্থায় গতকাল নির্মলা বলেন, ‘‘ওঁরা অনেক অভিযোগের উত্তর দিয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা নিশ্চয়ই সামনে আসবে।’’ তার প্রেক্ষিতে আজ এক্স-এ রমেশের দাবি, এই প্রথম সরকার এ নিয়ে নীরবতা ভাঙল। কিন্তু অর্থমন্ত্রী যে বলছেন, মাধবীরা স্বার্থের সংঘাত নিয়ে উত্তর দিচ্ছেন, তা আরও প্রশ্ন তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘‘যে ‘তথ্যের’ কথা বলা হচ্ছে, নির্মলা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি ২০২২ থেকেই (সেই বছর সেবি-কর্ণধার হন মাধবী) তা জানতেন? তাঁরা কি মনে করেন, সেই ‘তথ্য তুচ্ছ’ ও তা বাজার নিয়ন্ত্রক হিসেবে সেবি-র কাজকে খর্ব করে না?’’ আদানি কাণ্ডে সেবি-র তদন্ত স্বচ্ছ ও সম্পূর্ণ কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন রমেশ। বলেছেন, ‘‘এখনও এর শেষ শোনা হয়নি।’’