সেবি কর্ণধার মাধবী পুরী বুচ। —ফাইল চিত্র।
এ বার লগ্নিকারী সংস্থা ব্ল্যাকস্টোনের সঙ্গে সেবি কর্ণধার মাধবী পুরী বুচের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। শনিবার সংবাদমাধ্যমের একটি রিপোর্ট তুলে ধরে দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, প্রতিদিনই নিত্যনতুন অভিযোগ সামনে আসছে। শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রকের কর্ণধার হিসেবে মাধবীর কাজ চালিয়ে যাওয়া ‘সমর্থনযোগ্য নয়’। আদানি কেলেঙ্কারির পূর্ণ তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) তৈরি করা দরকার।
গত সপ্তাহে বিদেশি তহবিলে মাধবীর লগ্নি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। যে তহবিল বেআইনি ভাবে লগ্নি করে আদানিদের শেয়ার দর বাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আর একটি অভিযোগ ছিল, সেবিতে কাজ করা সত্ত্বেও তিনি একই সময়ে নিজস্ব সংস্থায় অংশীদারি ধরে রেখে লাভ কামিয়েছেন। হিন্ডেনবার্গের তৃতীয় তির, মাধবীর স্বামী ধবল বুচের মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা ব্ল্যাকস্টোনে যোগ। কারণ, ব্ল্যাকস্টোন বিপুল লগ্নি করেছিল ভারতের জমি-বাড়ি ক্ষেত্রে পুঁজি জুগিয়ে মোটা আয় করা রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট-এ (আরইআইটি)। অভিযোগ, মাধবী যখন সেবিতে, তখন আরইআইটি-র নিয়ম বদল হয়েছে এবং ব্ল্যাকস্টোন আরও বেশি লাভের সুযোগ পেয়েছে। আর তখন সেখানে কাজ করছেন ধবল। অথচ তাঁর নাকি এর আগে ফান্ড সংস্থায় কাজের কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। মাধবী ও ধবল অবশ্য সব অভিযোগই খারিজ করেছেন।
এই প্রসঙ্গে রমেশ এক্স-এ বলেন, বিশেষত একটি ক্ষেত্রে সেবি এবং ব্ল্যাকস্টোনের সঙ্গে যুক্ত মামলা থেকে মাধবী নিজেকে সরিয়ে নেননি বলে জানা গিয়েছে। যা আদতে স্বার্থের সংঘাত। তাঁর কথায়, ‘‘আদানিদের বিরুদ্ধে সেবি-কে যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, সেবি চেয়ারপার্সনের (মাধবীর) স্বার্থের সংঘাত তাকে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। ...তাঁর উচিত পদত্যাগ করা। আর দরকার জেপিসি তৈরি করে আদানি গোষ্ঠীর কেলেঙ্কারি তদন্ত করা। ...একমাত্র জেপিসি-ই পারে মোদানি মেগা কাণ্ডের পুরো ছবি তুলে ধরতে।’’