Rahul-Modi

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় চাকরি নিয়ে তরজা

বিএসএনএল, এমটিএনএল, সেলের মতো সংস্থার উল্লেখ করে রাহুলের টুইট, ‘‘২০১৪ সালের ১৬.৯ লক্ষ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় গত বছরে কাজ নেমেছে ১৪.৬ লক্ষে। উন্নয়নশীল দেশে কি এ ভাবে কাজ কমে?’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩ ০৫:৫৫
Share:

(বাঁ দিকে) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । —ফাইল চিত্র।

গত শুক্রবার তোপ দেগেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। এ বার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় চাকরির হাল নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রবিবার তিনি বলেন, এই সব সংস্থায় মোদী জমানায় দু’লক্ষেরও বেশি চাকরি গিয়েছে। বাড়ছে ঠিকাকর্মীর সংখ্যা। এ ভাবে দেশের তরুণ প্রজন্মের আশাকে ধ্বংস করছে কেন্দ্র। এটা যদি সত্যিই ‘অমৃত কাল’ হয়, তা হলে কাজ হারাচ্ছে কেন, প্রশ্ন তাঁর। এর পরেই বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়ের দাবি, ইউপিএ আমলে বিএসএনএল, এয়ার ইন্ডিয়ার মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার হাল খারাপ হয়েছে। বরং মোদীর সময়ে বহু সংস্থার মুনাফা, কর্মী সংখ্যা বেড়েছে।

Advertisement

এ দিন বিএসএনএল, ওএনজিসি, এমটিএনএল, সেলের মতো সংস্থার উল্লেখ করে রাহুলের টুইট, ‘‘২০১৪ সালের ১৬.৯ লক্ষ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় গত বছরে কাজ নেমেছে ১৪.৬ লক্ষে। উন্নয়নশীল দেশে কি এ ভাবে কাজ কমে?’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘যাঁরা বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, তাঁদের আমলেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় দু’লক্ষ কাজ গিয়েছে। অথচ এই সব সংস্থা কেন্দ্রের ঠিকমতো সাহায্য পেলে চাকরি তৈরি ও দেশ গঠনে অংশ নিতে পারে। শিল্পপতিদের ঋণ মকুব এবং সরকারি চাকরি মোছা, এটা কী ধরনের অনৈতিকতা?’’

এর পরেই মালবীয় পাল্টা টুইটে তুলে ধরেন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে চাকরির তথ্য। যেখানে দাবি, ২০১৩ সালে ২০.৩ লক্ষ চাকরি ছিল। ২০২২ সালে তা ১৯.৮০ লক্ষ। গত বছর জুন থেকে ২০,০০০ নিয়োগ হয়েছে। আট বছরে ২০২১-২২ সালে সংস্থাগুলির মুনাফা বেড়েছে ৯৩%, আয় ৬৫%। কেন্দ্রের আয় বেড়েছে ১৩০%। তাঁরতোপ, ‘‘রাহুলের নিজেকে ‘বুদ্ধিসম্পন্ন’প্রমাণ করতে যাওয়া ঠিক নয়। কারণ, তিনি এর কিছু বোঝেন না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement