গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
আদানি গোষ্ঠী এবং সেই সূত্রে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ জারি রাখল বিরোধী কংগ্রেস। শুক্রবার আদানি গোষ্ঠীর কয়লা আমদানি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের খবরের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিল তারা। শনিবার তাদের নিশানায় মুম্বইয়ে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস পরিচালিত দু’টি বিমানবন্দরের অ্যাকাউন্ট নিয়ে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের দেওয়া তদন্তের নির্দেশ। বিরোধী দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের অভিযোগ, এই তদন্ত আসলে ‘ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা’ (আইওয়াশ)। যার পরিণতি হবে মোদী আমলে আদানিদের বিরুদ্ধে শুরু করা অন্যান্য তদন্তের মতোই।
গত জানুয়ারিতে আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগ এনেছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তার পর থেকেই টানা গৌতম আদানির গোষ্ঠী এবং সেই সূত্রে মোদী সরকারকে তোপ দাগছেন বিরোধীরা। অভিযোগ করছেন, আদানিদের বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। শুক্রবার কংগ্রেস বলেছিল, দেশের মানুষের টাকা লুঠ হয়েছে আদানি গোষ্ঠী কয়লা আমদানির খরচ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোয়। নিজেদের আমদানির খরচ প্রায় ৫০% বাড়িয়ে দেখিয়েছে তারা।
আর শনিবার রমেশের অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই আদানি গোষ্ঠীর নানা কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। তা থেকে নজর ঘোরাতে মাঠে নেমেছে মোদী সরকার। তারা প্রমাণের চেষ্টা করছে যে আদানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাই এই তদন্ত। যা আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পছন্দের শিল্প গোষ্ঠীকে বাঁচানো এবং মানুষকে ঠকানোর চেষ্টা। নীতি আয়োগ এবং আর্থিক বিষয়ক দফতরের বিরোধিতা সত্ত্বেও কী করে আদানিদের ওই বিমানবন্দরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘আদানি গোষ্ঠীকে বিমানবন্দর বিক্রি করতে না চাওয়ায় যে ভাবে ইডি এবং সিবিআই মুম্বই বিমানবন্দরের পূর্বতন মালিকের অফিস ও বাড়িতে হানা দিয়েছিল, তার তদন্ত কবে হবে? কী ভাবে আদানিরা ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমাবন্দরের দখল নেওয়ার পরে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তা-ই খতিয়ে দেখা কবে হবে? ...মোদী আমলে আদানিদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া সমস্ত তদন্তের মতোই পরিণতি হবে এই নতুন তদন্তেরও। যার কোনও ফলই হবে না।’’ যে কারণে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ফের যৌথ সংসদীয় কমিটিকে দিয়ে তদন্তের দাবিও করেছেন তিনি।