প্রতীকী ছবি।
এনডিটিভি-কে আদানি গোষ্ঠীর ‘আগ্রাসী’ অধিগ্রহণের চেষ্টার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এক দিন আগেই মোদী সরকারের উদ্দেশে তোপ দেগেছিল কংগ্রেস। আর বৃহস্পতিবার ঋণের বোঝা নিয়ে ওই শিল্প গোষ্ঠীর পাশাপাশি আরও এক বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল তারা। সেই সঙ্গে তুলল তিনটি প্রশ্ন। একই দিনে আদানিদের ঋণ নির্ভর ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মূল্যায়ন সংস্থা এসঅ্যান্ডপি।
এ দিন কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ বিবৃতি জারি করে দাবি করেছেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে দেশবাসীর কাঁধে ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে অভ্যন্তরীণ ঋণ, বৈদেশিক ঋণ এবং অন্যান্য দায় মিলিয়ে কেন্দ্রের ধারের পরিমাণ ছিল ৫৫.৯ লক্ষ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষের শেষে তা আড়েবহরে বেড়ে দাঁড়াতে চলেছে ১৫২.১৭ লক্ষ কোটিতে। মাথাপিছু ধারের হিসাবে ৪৩,১২৪ টাকা থেকে বেড়ে তা হচ্ছে ১,০৯,০০০ টাকা। অর্থাৎ, গত ন’বছরে ঋণ বেড়েছে ১৫২%। বিরোধী দলটির অভিযোগ, কেন্দ্রের ‘বন্ধু শিল্পপতিদের’ হাতেও একই ভাবে বিপুল অঙ্কের ঋণ তুলে দেওয়া হচ্ছে। চাপ তৈরি হচ্ছে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাঁধে।
মূল্যায়ন সংস্থা ক্রেডিটসাইটসের সাম্প্রতিক রিপোর্ট উল্লেখ করে কংগ্রেসের বক্তব্য, দেশের ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানির সংস্থাগুলির ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং অধিগ্রহণের জন্য প্রবল বেগে ঋণ নিয়ে চলেছে। তাদের মোট ঋণের অঙ্ক পৌঁছেছে ২.৩০ লক্ষ কোটি টাকায়। এ ক্ষেত্রে আদানি পরিবারের সরাসরি ঢালা মূলধনের অঙ্ক খুবই কম। ২০২০ এপ্রিল থেকে ২০২২ জুন পর্যন্ত ৪৮,০০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এর মধ্যে ৪০ শতাংশই (১৮,৭৭০ কোটি) দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। আরও ১৪টি বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাঙ্ক দিয়েছে বাকি ৬০%। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই ভাবে বড় ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে দেশেরবৃহত্তম ব্যাঙ্ককে।
অন্য দিকে এসঅ্যান্ডপি জানিয়েছে, আদানিদের ব্যবসার ভিত শক্তিশালী ঠিকই, কিন্তু একই গতিতে ভবিষ্যতেও ঋণ নিয়ে অধিগ্রহণ চলতে থাকলে তাদের মূল্যায়নে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।