ফাইল চিত্র।
গত ৫ অক্টোবর দৈনিক অশোধিত তেলের উৎপাদন ২০ লক্ষ ব্যারেল ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর ওপেক গোষ্ঠীর (ওপেক প্লাস) দেশগুলি। যার সদস্য রাশিয়াও। যা বাস্তবায়িত হলে তেল, খাবারদাবার এবং অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়ে সামগ্রিক ভাবে মূল্যবৃদ্ধিকে আরও মাথা তুলতে সাহায্য করতে পারে। এই অবস্থায় আমেরিকা তেলের উৎপাদন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বলে দাবি করল সৌদি।
বুধবার রাতে প্রথম বার এ ব্যাপারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিক্রিয়া সামনে আসে। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, উৎপাদন ছাঁটাইয়ের ফলে জ্বালানির দাম বাড়লে আদতে রাশিয়া লাভবান হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে সৌদিকে হুঁশিয়ারিও দেন বাইডেন। যদিও বৃহস্পতিবার সৌদির দাবি, আমেরিকা আসলে তাদের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, বাইডেন প্রশাসনের ওই আবেদনের পিছনে সে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি জড়িয়ে। সম্প্রতি সামান্য কমলেও আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধির হার এখনও ৮.৫%। এরই মধ্যে আগামী ৮ নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচন। কংগ্রেসে বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে। সেই ব্যবধান বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই সময়ের আগেই যদি পেট্রল পাম্পে তেলের দাম চড়তে শুরু করে তা হলে ভোটে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। যা বাইডেন চাইছেন না।