প্রতীকী ছবি।
রাজ্য সরকার স্ট্যাম্প ডিউটি এবং সার্কল রেটে (ফ্ল্যাটের দামের এলাকা ভিত্তিক সরকারি হার) ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণার পরে অগস্ট থেকে বৃহত্তর কলকাতায় (কলকাতা মেট্রোপলিটন এরিয়া) ফ্ল্যাট-বাড়ির রেজিস্ট্রেশন বাড়ছিল। অক্টোবরেও সেই ধারা বজায় রইল। সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কমলেও গত বছরের অক্টোবরের থেকে রেজিস্ট্রেশন (নথিভুক্তি) বেড়েছে প্রায় ৮৭%, দাবি আবাসন শিল্পের উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্কের। তাদের আশা, স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ের সুবিধা রাজ্য আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোয় আরও অনেকে তা নিতে আগ্রহী হবেন। বিক্রি হওয়ার পরেও আর্থিক কারণে যে সব ফ্ল্যাটের নথিভুক্তি থমকে ছিল, তার অনেকটা যেমন সম্পূর্ণ হবে, তেমনই নতুন ক্রেতাও সেই সুবিধা নেওয়ার জন্য ঝাঁপাবেন। সব মিলিয়ে আরও গতি আসবে আবাসন বিক্রিতে। বাড়বে কর্মসংস্থানও।
করোনার ধাক্কায় বিপর্যস্ত আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করতে মহারাষ্ট্র প্রথমে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ের কথা ঘোষণা করে। এ বছর বাজেটে সেই সুবিধা দেয় পশ্চিমবঙ্গও। যার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় অগস্টে ক্রেতাদের তরফে এত সাড়া মিলেছে যে, এ বছর এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ওই মাসেই। সেপ্টেম্বরেও সেই হিড়িক বজায় ছিল। অক্টোবরে মূলত পুজোর ছুটিতে ক’দিন সরকারি দফতর বন্ধ থাকায় নথিভুক্তি একটু কমেছে।
নাইট ফ্র্যাঙ্কের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর অক্টোবরে যেখানে ২৫০৯টি ফ্ল্যাট নথিভুক্ত হয়েছিল, সেখানে এ বার তা হয়েছে ৪৬৮৩টি। সেপ্টেম্বরে আরও শ’দেড়েক বেশি হয়েছিল।
তাদের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালের প্রথম দশ মাসেই ২০২০-র চেয়ে দ্বিগুণ বেশি ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। সব থেকে বেশি উত্তরে, ৪৩%, দক্ষিণে ৩৪%। ৫০০-১০০ বর্গ ফুটের ফ্ল্যাটের নথিভুক্তি বেড়েছে গত বারের তুলনায় ২৬১%। ১০০০ বর্গ ফুটের চেয়ে বেশির ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ২৬০%।