Indian Economy

নতুন চাকরির সুযোগ খুলছে না, বলছে সমীক্ষা

অদূর ভবিষ্যতে কাজ তৈরির ঘাটতি দূর হওয়ার সম্ভাবনা কোথায়! তবে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই একমত, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালে ছবিটা হয়তো বদলাবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২১ ০৬:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

গত অর্থবর্ষ দেখেছে করোনার প্রথম ঢেউ। দেখেছে, অতিমারিকে রুখতে ওই বছর মার্চের শেষ থেকে দীর্ঘ লকডাউনে দেশ জুড়ে স্তব্ধ হয়ে থাকা ব্যবসাপত্তর, কাজ-কারবার। কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড সংস্থার (ইপিএফও) পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার মতে, এই পরিস্থিতিতে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতিতে নিট কাজ তৈরির সংখ্যাই তার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় কমেছে ১৬.৯ লক্ষ।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের একাংশের অবশ্য দাবি, এই পরিসংখ্যান স্রেফ করোনার ধাক্কা ভাবলে ভুল হবে। কাজের বাজার ধুঁকছিল ২০১৯-২০ সালে অর্থনীতির ঝিমুনির সময় থেকেই। এসবিআইয়ের গবেষণাপত্র বলছে, ২০২০-২১ সালে নিট কাজ তৈরির হিসেব ২০১৯-২০ বছরের থেকে কমলেও, সে বারের তুলনায় ভাল। কারণ, ওই বছর নতুন চাকরি কমেছিল তারও আগের বছরের চেয়ে ২৮.৯ লক্ষ। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার মানে গত দু’বছর ধরেই নতুন কাজের সুযোগ খুলছে না।

একেই দেশ জুড়ে বেকারত্ব ফের ঊর্ধ্বমূখী। তার উপর এই হিসেবে শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা স্রোত নামছে কাজের বাজারে পা রাখার অপেক্ষায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁদের আশঙ্কা, ফের কাজের সুযোগ মাথা তোলার আগেই আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সংক্রমণ আর মৃত্যু যেখানে অর্থনীতির পায়ের তলা থেকে জমি কাড়ছে, সেখানে অদূর ভবিষ্যতে কাজ তৈরির ঘাটতি দূর হওয়ার সম্ভাবনা কোথায়! তবে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই একমত, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালে ছবিটা হয়তো বদলাবে।

Advertisement

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, কর্মী পিএফের সদস্য গত অর্থবর্ষে দাঁড়িয়েছে ৯৪.৫ লক্ষ। এনপিএসে যোগ হয়েছে আরও ৫.৮২ লক্ষ। সব মিলিয়ে ১০০.৪ লক্ষ। যা তার আগের অর্থবর্ষের ১০২.৩ লক্ষ থেকে সামান্য কম। তবে এসবিআই গোষ্ঠীর মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্তি ঘোষের দাবি, ‘‘এই হিসেবে কর্মসংস্থানের ঠিক ছবি ফুটে ওঠে না। কারণ এতে এমন মানুষও আছেন যাঁরা এই বাজার থেকে বেরিয়ে পরে আবার যোগ দিয়েছেন। এগুলি শুধু নতুন চাকরি নয়।’’

সৌম্যকান্তির মতে, নিট নতুন বেতনভুক কর্মীর (প্রথম চাকরি) আসল তালিকা পিএফ বা এনপিএসে নতুন করে যোগ দেওয়া পুরনো সদস্যদের বাদ দিয়ে তৈরি হয়েছে। যা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয় না। সেখানেই দেখা যাচ্ছে আগের অর্থবর্ষে নতুন ওই কর্মীর নিট সংখ্যা ৪৪ লক্ষ। তার আগের বছরের থেকে ১৬.৯ লক্ষ কম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement