ফাইল ছবি
আমেরিকায় আরও চড়ে ৯.১% ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি (চার দশকে সর্বোচ্চ) অর্থনীতির মন্দার কবলে পড়া নিয়ে আশঙ্কা উস্কে দিয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে কোভিড রুখতে চিনে ফের বিধিনিষেধের কড়াকড়ি। ফলে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড) দাম ব্যারেলে ১০০ ডলারের নীচে নেমেছে বহু দিন বাদে। তার পরেই ভারত জুড়ে প্রশ্ন, তুলনায় সস্তা (৯৯ ডলার) অশোধিত তেলের সুবিধা কি পৌঁছবে দেশবাসীর ঘরে? ঠিক যে ভাবে দাম ১০০ ডলার পেরোতেই দেশের বাজারে জ্বালানির দরে আগুন ধরেছিল। পরে যা দ্রুত ঠেলে তোলে অন্যান্য পণ্যের দামকে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, অশোধিত তেল সস্তা হলেও লাভ নেই। ভারতের আমদানি খরচ কমার পথ আটকাচ্ছে টাকার পড়তি দাম। ডলার ৮০ টাকার কাছে পৌঁছে গিয়েছে।
তার উপরে বাড়তি মুনাফার লোভে কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি শোধনাগার রফতানি বাড়ানোয় এবং তাতে দেশের জোগানে টান পড়ায় সম্প্রতি কেন্দ্র তাদের উপরে বাড়তি শুল্ক (উইন্ডফল ট্যাক্স) বসিয়েছে। এখন বিশ্ব বাজারের দর পড়ায় সংস্থাগুলির লাভ কমতে পারে। অথচ ঘাড়ে শুল্কের বোঝা।
অতিমারির তৃতীয় ঢেউ কাটিয়ে আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরুর মুখেই ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ব্রেন্ট ছাড়িয়েছিল ১৩৯ ডলার। পরে নেমে ঘোরাফেরা করতে থাকে ১০৫-১১০ ডলারের মধ্যে। এ বার আশঙ্কা, মূল্যবৃদ্ধি যুঝতে আমেরিকা আরও সুদ বাড়ালে আর্থিক বৃদ্ধি এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আরও ধাক্কা খেতে পারে। তাতেই মন্দার জল্পনা চড়ছে। চাহিদা কমার আশঙ্কায় কমছে অশোধিত তেলের দাম। প্রশ্ন হল, সেই সুবিধা ভারতে ঘরে তুলতে পারবে কি?