—প্রতীকী চিত্র।
দুশ্চিন্তা বাড়ছে ভারতীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন নিয়ে। বুধবার মুদ্রা বাজারের প্রাথমিক হিসাবে দিনের মাঝে ডলারের সাপেক্ষে নজিরবিহীন তলানিতে নেমে যায় টাকার দাম। আমেরিকার মুদ্রা ৮৩ টাকা পেরিয়েছিল বেশ কিছু দিন আগেই। এ দিন এক সময় ৯ পয়সা বেড়ে এই প্রথম ডলার ছোঁয় ৮৩.৩৩ টাকা। ভারতীয় মুদ্রা এতটা নীচে আগে কোনও দিন নামেনি। তবে শেষ পর্যন্ত রেকর্ড তলানিতে ঠেকেনি টাকা। এক ডলার ৪ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮৩.২৮ টাকা। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, রেকর্ড এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। শেয়ার বাজারও ফের পড়েছে এ দিন। সেনসেক্স ২৮৩.৬০ পয়েন্ট নেমে দাঁড়িয়েছে ৬৩,৫৯১.৩৩ অঙ্কে। নিফ্টি হয়েছে ১৮,৯৮৯.১৫। পতন ৯০.৪৫। এই নিয়ে টানা দু’দিন নামল বাজার।
আইসিএআই (পূর্বাঞ্চল)-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্ত বলছেন, ডলারের শক্তিশালী হওয়া, আমেরিকায় চাঙ্গা বন্ড বাজার, ভারতে শেয়ার বাজারে পতন, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির লাগাতার শেয়ার বিক্রি এবং অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা— সবই টাকার দাম পড়ার জন্য দায়ী। তাঁর কথায়, ‘‘ইজ়রায়েল-হামাস সংঘর্ষ ভারত-সহ গোটা বিশ্বের বাজারকে অস্থির করছে। যে কারণে সোনা ও ডলারের দাম চড়ছে। আমেরিকায় সুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও একটা কারণ। আরবিআই নজর রাখছে। প্রয়োজনে বাজারে আরও ডলার বেচবে তারা। ৭-১০ দিনের মধ্যে টাকার দাম কিছুটা বাড়বে মনে হয়।’’
বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর দাবি, আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে আরও সুদ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে। তাদের বৈঠকের আগে লগ্নিকারীরা সতর্ক। সেই কারণে শেয়ার বাজারও পড়ছে।