—প্রতীকী চিত্র।
সাম্প্রতিকতম ঋণনীতিতে সুদ অপরিবর্তিত (৬.৫%) রেখে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক তুলে ধরেছিল খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ধারাবাহিক উদ্বেগের কথা। তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষায় দাবি করা হল, মূলত খাবারদাবারের দাম বৃদ্ধির হার কমার জন্য জানুয়ারিতে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার নামতে পারে ৫.০৯ শতাংশের আশপাশে। যা তিন মাসের সর্বনিম্ন হলেও যথেষ্ট বেশি। তবে এর পাশাপাশি সমীক্ষা রিপোর্টে এ-ও উল্লেখ করা হয়েছে, এক বছর আগে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৫২%। এই উঁচু ভিতের নিরিখে হিসাব কষাও গত মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার মাথা নামানোর অন্যতম কারণ হতে পারে। গত ডিসেম্বরে ওই হার ছিল ৫.৬৯%। যা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নির্ধারিত সহনশীলতার মধ্যে (২%-৬%) থাকলেও অনেকটাই উঁচু। শীর্ষ ব্যাঙ্কও জানিয়ে দিয়েছে, তারা একে ৪ শতাংশের কাছাকাছি নামিয়ে আনতে চায়।
গত ৫-৮ ফেব্রুয়ারি ৪৪ জন অর্থনীতিবিদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে রিপোর্টটি তৈরি করেছে রয়টার্স। সেখানে দাবি করা হয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে খাবারদাবারের দাম সাধারণ মানুষের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আনাজপাতির। মাঝে মাস দুয়েক সেই মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা বিরতি নিলেও নভেম্বর থেকে তা ফের চড়তে শুরু করে। জানুয়ারিতে অবশ্য দাম বৃদ্ধির গতি আবার কিছুটা কমতে দেখা গিয়েছে। খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি বাদে বাকি মূল্যবৃদ্ধির হারও (কোর ইনফ্লেশন) গত মাসে ৩.৭ শতাংশের কাছাকাছি নেমে এসেছে। অক্সফোর্ড ইকনমিক্সের অর্থনীতিবিদ আলেকজ়ান্দ্রা হারমানের কথায়, ‘‘আমাদের মনে হচ্ছে জানুয়ারিতেও মূল্যবৃদ্ধির হার যথেষ্ট উঁচুতে থাকতে পারে। তবে খাবারদাবারের দাম কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। উঁচু ভিত, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার কমা এবং জ্বালানির দাম কমার ফলে মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা আগের তুলনায় কিছুটা নামতে পারে।’’
রয়টার্সের অন্য একটি সমীক্ষায় প্রকাশ, চলতি অর্থবর্ষে মূল্যবৃদ্ধির হার হতে পারে ৫.৪%। আর পরের বছর ৪.৭%। যা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমানের কাছাকাছি (৫.৪% এবং ৪.৫%)।