—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে দেশে চড়া বেকারত্ব নিয়ে বার বার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছিল মোদী সরকার। বিশেষত যুব সম্প্রদায়ের হাতে কাজ না থাকা আর্থিক বৃদ্ধির পক্ষে খারাপ বলে সতর্ক করেছেন রঘুরাম রাজন থেকে কৌশিক বসু-সহ বিভিন্ন অর্থনীতিবিদেরা। কেন্দ্র সেই কথা স্বীকার না করলেও, কাজ নিয়ে চিন্তা যে অমূলক নয় তার প্রমাণ দিয়ে গত অর্থবর্ষে কমল ইপিএফও-র সদস্য নিয়োগ। খোদ পরিসংখ্যান মন্ত্রকের তথ্যই জানাচ্ছে, ওই সময়ে ১.০৯ কোটি কর্মী যোগ দিয়েছেন এই প্রকল্পে। যা তার আগের বছরের তুলনায় ৪% কম। ২০২২-২৩ সালে সদস্য যোগদানের সংখ্যা ছিল ১.১৪ কোটিরও বেশি। এ পর্যন্ত করোনার আগের সদস্য সংখ্যাও ছুঁতে পারেনি ইপিএফও। সব মিলিয়ে যা কাজের বাজারের আশঙ্কাজনক ছবিই তুলে ধরেছে বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের দাবি, কর্মী এত কমা মানে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বেকারত্ব বেড়েছে দেশে। তবে সরকারি মহলের মতে, বহু মানুষ অবসরও নিয়েছেন। তাই এত সদস্য বাদ গিয়েছেন ইপিএফ থেকে। তাঁদের নাম উঠেছে পিএফ পেনশন পাওয়ার তালিকায়।
সম্প্রতি একের পর এক সমীক্ষা দেশে কর্মসংস্থানের হাল নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিরোধীরা ক্রমাগত বেকারত্বের প্রশ্নে আক্রমণ করছেন মোদী সরকারকে। অর্থনীতিবিদেরাও কাজহীন আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করছেন। বলছেন, তরুণ প্রজন্ম কাজ না পেলে বাড়তে পারে বৈষম্য। মাথা তুলতে পারে সামাজিক অস্থিরতা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই পরিস্থিতিতে নিজেদের তথ্যই কাজের বাজার নিয়ে মাথাব্যথা আরও বাড়াল কেন্দ্রের।
রবিবার পরিসংখ্যান মন্ত্রকের ‘পে-রোল রিপোর্টিং ইন ইন্ডিয়া: অ্যান এমপ্লয়মেন্ট পার্স্পেকটিভ: জানুয়ারি টু এপ্রিল, ২০২৪’ রিপোর্ট বলছে, গত অর্থবর্ষে দেশে ইপিএফও-র প্রকল্পে যোগ দিয়েছেন ১,০৯,৯৩,১১৯ জন কর্মী। এ নিয়ে টানা পাঁচ বছরেও কর্মী নিয়োগ অতিমারির আগের ১,৩৯,৪৪,৩৪৯ জনকে ছুঁতে পারেনি। তার উপরে এই সময়ে কর্মী রাজ্য বিমা প্রকল্পেও (ইএসআই) সদস্য যোগদানের সংখ্যা ২০২২-২৩ সালের ১,৬৭,৭৩,০২৩ থেকে কমে হয়েছে ১,৬৭,৬০,৬৭২ জন। তবে আলোচ্য বছরে বেড়েছে এনপিএসের সদস্য। ৮,২৪,৭৩৫ থেকে তা বেড়ে হয়েছে ৯,৩৭,০২০ জন। কিন্তু এই প্রকল্পে কর্মী ছাড়াও যে কোনও ব্যক্তি যোগ দিতে পারেন। ফলে তার হিসাব দিয়ে কর্মী সংখ্যা মাপা যায় না বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।