—প্রতীকী চিত্র।
নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতে আর ২২ দিন বাকি। এক দিকে চলছে প্রচার, অন্য দিকে দানা বাঁধছে ফলাফল নিয়ে জল্পনা। নানা অঙ্কের হিসেব দেখে মনে হতে পারে, একই সঙ্গে যেন দু’টি আইপিএল প্রতিযোগিতা দেখছে দেশ। সম্ভাব্য ফল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে শেয়ার বাজারেও। তাকে ঘিরে আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন সেখানে স্পষ্ট। ফলে সূচক এখন অস্থির। কারণ, নির্বাচন শুরু হওয়ার মুখে ফলাফল নিয়ে বাজার যা আশা করছিল, এখন যেন তা থেকে কিছুটা পিছু হটার আশঙ্কা উঁকি মারছে মাঝেমধ্যে। তার ছাপও পড়ছে সূচকের গতিপথে। যেমন, গত বৃহস্পতিবার সেনসেক্স ১০৬২ পয়েন্ট গোত্তা খায়। বাজার কিছুটা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী দেশের দুই প্রধান শিল্পপতি বর্তমান বিরোধী দল কংগ্রেসকে বড় অঙ্কের নগদ টাকা পাঠিয়েছে বলে অভিযোগের আঙুল তোলেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই অস্থিরতা আরও তিন সপ্তাহ ধরে চলবে। বাজার দিশা পাবে ৪ জুন ফল প্রকাশের পরে। তত দিন পর্যন্ত একলপ্তে মোটা টাকা শেয়ার লগ্নি না করাই ভাল। কিস্তিতে পুঁজি ঢালা যেতে পারে প্রতিটি পতনে। তবে বাজারে রাজনীতির প্রভাব সাময়িক। বড় মেয়াদে অর্থনীতিই তার গতিপথ নির্ধারণ করবে। অর্থাৎ নির্বাচন এবং তার ফলের পাশাপাশি নজর রাখতে হবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও।
বাজারের আশা, মার্চের ৪.৮৫% থেকে এপ্রিলে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি ৪.৮০ শতাংশে নামতে পারে। তবে খাদ্যপণ্যই এখনও সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্য খুচরো মূল্যবৃদ্ধিকে ৪ শতাংশে নামানো। খাদ্যপণ্যের দাম না কমলে সেটা হবে না। আর যত দিন তা না হচ্ছে, তত দিন সুদ কমার আশা ক্ষীণ। বিশেষত মূল্যবৃদ্ধি মাথা তোলায় আমেরিকাও যেহেতু এখনও সুদ কমায়নি। তার উপরে পরিষেবা ক্ষেত্রের বৃদ্ধি সামান্য হলেও শ্লথ হয়েছে এপ্রিলে। পিএমআই পরিষেবা সূচক মার্চের ৬১.২ থেকে নেমেছে ৬০.৮-এ। এই সূচক ৫০-এর বেশি হলে বৃদ্ধি। গত মাসে শিল্পবৃদ্ধির হারও দাঁড়িয়েছে ৪.৯%। ফেব্রুয়ারির ৫.৬ শতাংশের তুলনায় কম।
ভোটের ফল বেরনোর আগেই শেষ হবে সংস্থাগুলির গত অর্থবর্ষ এবং তার শেষ তিন মাসের (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক ফল প্রকাশ। এর বড় প্রভাব থাকে শেয়ার বাজারে। গত সপ্তাহে ফল বেরিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের। জানুয়ারি-মার্চে তাদের নিট মুনাফা ৪০০৪ কোটি টাকা বেড়ে পৌঁছেছে ২০,৬৯৮ কোটি টাকায়। গোটা অর্থবর্ষে ২২% বেড়ে তা ৬১,০৭৭ কোটি। ওই তিন মাসে টাটা মোটরসের একত্রিত নিট লাভ ২২২% বেড়ে হয়েছে ১৭,৪০৭ কোটি টাকা, সিপলার বেড়েছে ৭৮%, এবিবি-র ৮৭%, ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ৭% এবং ব্যাঙ্ক অব বরোদার ২.৩২%। পিএনবি-র লাভ ১১৫৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০১০ কোটি টাকা। গত সপ্তাহের অন্যান্য খবরগুলি হল—