—প্রতীকী চিত্র।
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ— দুই ধরনের কর সংগ্রহই যে বাড়ছে এবং তা বাজেট লক্ষ্যমাত্রা ছাপাতে পারে, সেই ছবি স্পষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তথ্যে। তবে মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চের দাবি, কর থেকে কেন্দ্রের আয় বাড়লেও ১০০ দিনের কাজ এবং বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজকোষ ঘাটতি বাজেট লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে যেতে পারে। কেন্দ্র অবশ্য অনেক দিন ধরেই বলছে, চলতি অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রার (৫.৯%) মধ্যে বেঁধে রাখার ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী।
এ দিকে, আজ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বরে চলতি খাতে ঘাটতি জিডিপির ১ শতাংশে নেমেছে। বাণিজ্য ঘাটতি কমাই মূল কারণ। এক বছর আগে ছিল ৩.৮%।
গত বাজেটে কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২৩.৩ লক্ষ কোটি টাকা রেখেছিল কেন্দ্র। তবে অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসেই (এপ্রিল-অক্টোবর) সংগ্রহ সেই লক্ষ্যমাত্রার ৬০% ছুঁয়ে ফেলেছে। তবে ইন্ডিয়া রেটিংসের রিপোর্টে দাবি, কর সংগ্রহ বাড়লেও বেশ কয়েকটি খাতে সরকারের খরচ বাজেট লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে। যেমন, রাসায়নিক সারে যে ভর্তুকি দেওয়ার কথা বাজেটে বলা হয়েছিল, তার প্রায় পুরোটাই অক্টোবরের মধ্যে খরচ হয়ে গিয়েছে। ফলে এই খাতে বরাদ্দ আরও বাড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। শুরুতে ১০০ দিনের কাজে ৬০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭৯,৭৭০ কোটি। আরও ১৪,৫২০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে এই খাতে। একই ভাবে বেড়েছে খাদ্যের ভর্তুকি। গত অগস্টে গৃহস্থের রান্নার গ্যাসের দামও কমিয়েছে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি ৬ শতাংশে গিয়ে ঠেকতে পারে।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সরকার কর সংগ্রহ বাড়াতে পারলেও খরচও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। নির্বাচনের আগে সেখানে কাটছাঁট করা কঠিন। আবার বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৫১,০০০ কোটি টাকা করা সত্ত্বেও অক্টোবর পর্যন্ত এসেছে ৮০০০ কোটি। ফলে ঘাটতির ঝুঁকি বাড়ছে।