—প্রতীকী চিত্র।
চড়া মূল্যবৃদ্ধি যুঝতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। আয়ের বড় অংশই চলে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে। যে টাকা হাতে থাকছে, সেটা সঞ্চয়েই জোর দিচ্ছেন তাঁরা। কাটছাঁট করছেন বাইরের খাওয়া এবং অর্ডার দেওয়ায়। এর প্রভাবে গত কয়েকটি ত্রৈমাসিকের মতো জানুয়ারি-মার্চেও চটজলদি খাবারের (কুইক সার্ভিস) রেস্তরাঁগুলির মুনাফা কমতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা বলছেন, কমদামি খাবারের প্যাকেজ এনে বা নতুন রেস্তরাঁ খুলেও সেই পরিস্থিতি বদলানোর সম্ভাবনা কম। এর সঙ্গেই স্থানীয় দোকানগুলির প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে তারা। ফলে সব মিলিয়ে চাপে পিৎজ়া হাট, ডমিনোজ়, বার্গার কিং-এর মতো খাবারের চেনগুলি।
দেশে গত কয়েক মাসে মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামানোর তথ্য দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে। যদিও ওয়েলথ্-মিল্স সিকিয়োরিটিজ়ের কর্তা ক্রান্তি বাথিনি বলছেন, আগে যেখানে মাসে মানুষ হয়তো তিন-চার বার চটজলদি খাবারের রেস্তরাঁয় যেতেন, সেখানেই এখন তা দাঁড়িয়েছে এক বা দুইয়ে। যার জের পড়ছে সেগুলির মুনাফায়। বার্গার কিং ৯৯ টাকার এবং অন্যান্য সংস্থাগুলিও কম দামের খাবার এনে পরিস্থিতি বদলাতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েক বছর ধরে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির চড়া দামে আমজনতার সঙ্গেই হাসফাঁস দশা রেস্তরাঁগুলির। এ বার দেশে লা পিনোজ়, জাম্বোকিং, বিগিস বার্গারের মতো স্থানীয় রেস্তরাঁগুলির প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে পিৎজ়া হাট ও কেএফসি পরিচালনকারী সংস্থা দেবযানী ইন্টারন্যাশনাল ও স্যাফায়ার ফুডস ইন্ডিয়া, ডমিনোজ়ের জুবিল্যান্ট ফুডওয়ার্কস, বার্গার কিং-এর রেস্তরাঁ ব্র্যান্ডস এশিয়া, ম্যাকডোনাল্ডসের ওয়েস্টলাইফ ফুডওয়ার্ল্ড। যার জেরে জানুয়ারি-মার্চে স্যাফায়ার, দেবযানী ও ওয়েস্টলাইফের মুনাফা কমতে পারে ৫৪%-৯৭%। টানা ১২টি ত্রৈমাসিকে ক্ষতি হতে পারে রেস্তরাঁ ব্র্যান্ডসের। পিৎজ়া হাটের একই বিপণিতে বিক্রি কমতে পারে ১০%। উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে থেকে ফল প্রকাশ শুরু করবে সংস্থাগুলি। তবে তাদের আশা, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে শোধরাতে পারে হাল।