Price Hike

পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ১৬ মাসে সর্বোচ্চ, খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১১%, পেঁয়াজের দর চড়েছে ৯৩.৩৫%!

গত মাসে আগুন দামের ডাল-চাল-আনাজের ধাক্কায় খুচরো মূল্যবৃদ্ধিও আবার ৫ শতাংশের উপরে উঠেছে। তার ৫.০৮% হার চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার পেরিয়ে গিয়েছে ৯%।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ০৫:৪১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সরকারি হিসাবে গত মাসে দেশের পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩.৩৬%। কিন্তু সোমবার এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পরেই কাঁপুনি বাড়ল দেশ জুড়ে। কারণ, একে তো এই হার ১৬ মাসে সব থেকে বেশি। তার উপর জুনে খাদ্যপণ্যের পাইকারি দাম বেড়ে গিয়েছে প্রায় ১১% (১০.৮৭%)। শুধু পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিই ৯৩.৩৫%। এ ছাড়া, ৬৬.৩৭% বেড়েছে আলু দাম, আনাজের ৩৮.৭৬%। মাথা তুলেছে কারখানায় তৈরি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও।

Advertisement

গত মাসে আগুন দামের ডাল-চাল-আনাজের ধাক্কায় খুচরো মূল্যবৃদ্ধিও আবার ৫ শতাংশের উপরে উঠেছে। তার ৫.০৮% হার চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার পেরিয়ে গিয়েছে ৯%।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পণ্যের পাইকারি দাম নির্ভর মূল্যসূচকের হিসাব কষার ক্ষেত্রে খাদ্যপণ্যের গুরুত্ব তুলনায় কম। তার পরেও সেগুলির চড়া মূল্যবৃদ্ধির অভিঘাত এড়ানো যায়নি। তবে পাইকারির হিসাবে যে ক্ষেত্রের গুরুত্ব সব থেকে বেশি, সেই কল-কারখানায় তৈরি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও আগের থেকে বেশি মাথা তুলেছে (১.৪৩%)। এত দিন সেগুলির দাম কমছিল বা অতি সামান্য বাড়ছিল। এই দুই ক্ষেত্রই সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার চড়ার জন্য দায়ী। এমনিতে পাইকারি দামের সরাসরি প্রভাব সাধারণ ক্রেতার উপরে পড়ে না। খুচরো বাজারে তার ঢেউ আছড়ে পড়তেও সময় লাগে। তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাজার করতে গিয়ে এমনিতেই এখন ছেঁকা খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পাইকারি দাম দেখে তাই মাথায় হাত পড়েছে। কারণ, তার প্রভাবে খুচরো দর আগামী দিনে আরও চড়লে দুর্ভোগ বাড়বে।

Advertisement

আইসিএআইয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্ত বলছেন, ‘‘পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি উৎপাদকের স্তরে দামের গতিপ্রকৃতিকে তুলে ধরে। চড়া গরমে তাঁদের ফসল বা তার বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বহাল রয়ে গিয়েছে। ফলে আগামী দিনে ডাল, আনাজ ইত্যাদির আরও দাম বৃদ্ধির আশঙ্কাও থাকছে। কাজেই খুচরো বাজারে ক্রেতাদের ভোগান্তির দিন এখনও শেষ হয়নি।’’ বন্ধন ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ সিদ্ধার্থ সান্যালের অবশ্য দাবি, ‘‘খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে বাদ দিলে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি এক শতাংশের নীচে। ফলে এক মাসের ওই পরিসংখ্যান নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আগামী দিনের পরিংখ্যানে নীতিপ্রণেতারা চোখ রাখবেন। খাদ্যপণ্যের দামেও নজর রাখা হবে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এখন একমাত্র ভরসা ভাল বর্ষা। উৎপাদক এবং ক্রেতারা সেই আশাতেই দিন গুনছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement