রঘুনাথপুরে শিল্পতালুক ‘জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী’ গড়ছে সরকার। সেখানেই বিলেট কারখানা হবে। —প্রতীকী চিত্র।
বিদেশি মদ তৈরির জন্য জমি দিলেও, হচ্ছে উন্নত মানের লোহার রড (বিলেট) গড়ার কারখানা। এতে দূষণ ছড়াবে, অভিযোগ তুলে সরব হন জমিদাতাদের একাংশ। তাঁদের নিয়েই বৈঠকে বসলেন পুলিশ, প্রশাসন এবং সংস্থা কর্তৃপক্ষ। তবে সত্যিই জট কেটেছে কি না স্পষ্ট নয়।
এই ঘটনা রঘুনাথপুর ১ ব্লকের নতুনডি পঞ্চায়েতের। পুরুলিয়ার এই রঘুনাথপুর শিল্পাঞ্চলে অতীতে দূষণ রুখতে স্পঞ্জ আয়রন কারখানার বিরুদ্ধেও আন্দোলনের ইতিহাস আছে। ইস্পাত কারখানা নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলন হয় মূলত জমির দাম বাড়ানোর দাবিতে। সেই মাটিতেই আবার শিল্পের বিরুদ্ধে স্বর উঠছে। জট কাটাতে তৎপর প্রশাসন। সোমবার সন্ধ্যায় রঘুনাথপুর থানায় হওয়া ওই বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সংস্থা রেইজ়ল্যান্ড স্টিলের আশ্বাস, কারখানায় জমিদাতাদের কর্মসংস্থান হবে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে দূষণও হবে না। রেইজ়ল্যান্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট অচিন মজুমদার বলেন, ‘‘সমস্যা মিটেছে। দ্রুত নির্মাণ শুরু করব।” জমিদাতাদের অন্য অংশের অবশ্য দাবি, বৈঠকে তাঁদের ডাকা হয়নি। যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরা জমিদাতা নন। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কারখানা তৈরি শুরু হলে সক্রিয় বিরোধিতায় নামবেন।
রঘুনাথপুরে শিল্পতালুক ‘জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী’ গড়ছে সরকার। সেখানেই বিলেট কারখানা হবে। বাম আমলে তারা প্রায় ৩৫ একর জমি কিনেছিল আমতোড়, ধটাড়া, নুনিরডি গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে। মদ কারখানার অনুমতি না মেলায় বিলেট কারখানা হচ্ছে। জমিদাতাদের তরফে শ্রীকান্ত মুর্মু বলেন, ‘‘বিদেশি মদ তৈরি হলে দূষণ হবে না। বিলেট হলেও হবে না বলছে। বিশ্বাস করতে পারছি না।” বৈঠকে উপস্থিতদের তরফে ধটাড়া
গ্রামের বিনোদবিহারী গরাই অবশ্য বলেন, ‘‘কারখানা হলে ছেলেমেয়েরা কাজ পাবে। সংস্থারও দাবি, দূষণ হলে কারখানা বন্ধ করবে। সিএসআর-এ গ্রামগুলির উন্নয়নও করবে। তা হলে বাধা দেওয়ার যুক্তি কী!”