Jute

Jute: কাঁচা পাটের দরে জটিলতা, শিল্প হারাল ১৫০০ কোটি

চলতি বছর ফলন এবং জোগান ভাল হলেও, বেআইনি মজুতদারির জেরে বাজারে তার দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:২০
Share:

ফাইল চিত্র।

কাঁচা পাটের দাম নিয়ে সমস্যার জেরে চট শিল্পের ১৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট শিল্প মহলের। নিয়ম অনুসারে দেশে এখন ১০০% খাদ্যশস্য এবং ২০% চিনি মজুতের জন্য চটের বস্তা ব্যবহার হওয়ার কথা। সূত্রের দাবি, চলতি মরসুমে সময় এবং চাহিদা মতো চট শিল্প তা জোগান দিতে না-পারায় প্রায় ৪.৮১ লক্ষ বেল বস্তার (১ বেল= ৫০০টি বস্তা) বরাত হারাতে হয়েছে এই শিল্পকে। ফলে সব মিলিয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।

Advertisement

গত বছর আমপান ও লকডাউনে ধাক্কা খেয়েছিল কাঁচা পাটের উৎপাদন। তার পরে চলতি বছর ফলন এবং জোগান ভাল হলেও, বেআইনি মজুতদারির জেরে বাজারে তার দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি জুট কমিশনারের দফতর কাঁচা পাটের সর্বোচ্চ দর কুইন্টালে ৬৫০০ টাকায় বেঁধে দিয়েছে।

এ দিকে শিল্পের দাবি, বাজারে পণ্যটির দাম ৭২০০ টাকা। ফলে বেশি দামে তা কিনতে গিয়ে ক্ষতি হচ্ছে তাদের। উৎপাদন হচ্ছে কম বস্তা। সূত্রও জানাচ্ছে, নভেম্বরে ২.৫ লক্ষ বেল বস্তা সরবরাহের কথা ছিল চট শিল্পের। আর ডিসেম্বরে ২.৩১ লক্ষ। কিন্তু দাম নিয়ে সমস্যা না-মেটায় তা সরবরাহ করা যায়নি। ফলে চট শিল্পের ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ১৫০০ কোটি। উল্লেখ্য, কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে বছরে প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকার বস্তা কেনে। এক বেলের দাম প্রায় ৩১,০০০ টাকা।

Advertisement

তার সঙ্গে ২০২২-২৩ সালের রবি মুরসুমে বস্তার সরবরাহের প্রতিশ্রুতি ১৬.২৫ লক্ষ বেল থেকে কমিয়ে ১৩.৫ লক্ষ করেছে চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ। তবে কাঁচা পাটের অভাবের কথা মানতে চায়নি জুট কমিশনারের দফতর। তাদের বক্তব্য, পাটের উৎপাদনে ঘাটতি নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement