অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।
করোনার লকডাউনের জেরে হওয়া বিপুল কর্মহানির প্রভাব যে সবচেয়ে বেশি পড়েছিল মহিলাদের উপরে, তা উঠে এসেছে একাধিক সমীক্ষায়। আর্থিক কর্মকাণ্ড সচল হলেও তাঁদের বড় অংশ কাজের জগতে ফেরার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে। আজ মহিলা উদ্যোগপতি দিবসে তাঁদের একাংশের বক্তব্য, ব্যবসার ঋণ পাওয়াও সহজ হয় না মহিলাদের পক্ষে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের অবশ্য দাবি, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার অন্যতম উদ্দেশ্য মহিলাদের পুঁজি জোগানো।
অ্যাসিডাস গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও সোমদত্তা সিংহের মতে, ঐতিহাসিক ভাবেই অধিকাংশ ব্যবসা পুরুষ নিয়ন্ত্রিত। ঋণদাতাদের মধ্যেও প্রতিষ্ঠিত উদ্যোগগুলিকে বেশি পুঁজি জোগানোর প্রবণতা আছে। মনে করা হয় তাতে ঝুঁকি কম। এই পরিস্থিতিকে অতিক্রম করে মহিলাদের পক্ষে ঋণ নিশ্চিত করাও কঠিন। তাঁর বক্তব্য, কর্মক্ষেত্রে সবার কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ, কাজের বাজারে মহিলাদের সহজে প্রবেশের পথ মসৃণ করা এবং পুঁজি সরবরাহ নিশ্চিত করায় জোর দিতে হবে। শি দ্য পিপল টিভির প্রতিষ্ঠাতা শৈলী চোপড়ার পরামর্শ, মহিলারা যাতে কাজের বাজারে প্রবেশ করতে পারেন তার জন্য নতুন উপায় বার করতে হবে। তার মধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
রামেশ্বরমে হকারদের একাংশের হাতে ঋণের চিঠি তুলে দিয়ে নির্মলা আজ জানান, মুদ্রা যোজনায় মহিলাদের আর্জিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘যে সব মহিলা ব্যবসা করেন বা শুরু করতে চান, তাঁরা মুদ্রা যোজনায় ঋণ নিতে পারেন। এটি প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ দিক। এতে ১০০ জন উপকৃত হয়ে থাকলে তাঁদের ৬০ জনই মহিলা।’’