—ফাইল চিত্র।
ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতি হয়ে ওঠার সাফল্যের বড়াই করে মোদী সরকার। কিন্তু শুধু অঙ্কের মাপে অর্থনীতির চেহারাটাই বড় কথা নাকি কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো মানবিক সূচকগুলির অবস্থাও খতিয়ে দেখা দরকার, ওঠে সে প্রশ্নও। বস্তুত, সরকারির পরিসংখ্যানে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির দাবি করা হলেও বাস্তবে উল্টো ছবির চর্চাই বেশি। সেই সঙ্গে জনমানসে আর্থিক বৈষম্য ক্রমশ বৃদ্ধির অভিযোগও উঠছে। এই পরিস্থিতিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) প্রাক্তন গভর্নর সি রঙ্গরাজনের বার্তা, পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি হওয়া চিত্তাকর্ষক ঠিকই। কিন্তু সেই সঙ্গে মাথা পিছু আয়ও বৃদ্ধিও জরুরি। সকলের মধ্যে সাম্য না থাকলে দীর্ঘস্থায়ী বৃদ্ধি সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।
সম্প্রতি আরবিআইয়ের প্রাক্তন শীর্ষ কর্তা তথা প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলেন, কোভিড, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ ইত্যাদির পরে ভারতের ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য স্পষ্ট রূপরেখা তৈরি করা জরুরি। এ জন্য সব চেয়ে আগে প্রয়োজন আর্থিক বৃদ্ধি হার ত্বরান্বিত করা। তাঁর কথায়, ‘‘পঞ্চম অর্থনীতি হওয়া উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কিন্তু মাথা পিছু আয়ের নিরিখে পরিস্থিতিটা ভিন্ন। এই ক্ষেত্রে ১৯৭টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ২০২০ সালে ছিল ১৪২ তম। আমাদের কতটা দূরত্ব পেরতে হবে, এটাই তার প্রমাণ। তাই দ্রত বৃদ্ধির পথে হাঁটা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই।’’
বৃদ্ধির হার মাথাচাড়া দিলে কাজও জরুরি। রঙ্গরাজনের বক্তব্য, আর্থিক বৃদ্ধি ছাড়া কর্মসংস্থানের ধারাবাহিক গতি ধরে রাখা সম্ভব নয়। তাই আগামী দু’দশক টানা যদি ৭% বৃদ্ধির হার ধরে রাখা যায়, তা হলে অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। সে ক্ষেত্রে উন্নত দেশের স্বীকৃতি স্পর্শ করতে পারবে ভারত।