IIMC

মানের অবনতি! অভিযোগ আইআইএমসি-তে

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, পরিচালনা ও পঠনপাঠনের মান নিয়ে সরাসরি ডিরেক্টর বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এর আগে এমন অভিযোগ ওঠেনি আইআইএমসি-তে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:০৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক আঙিনাতেও উল্লেখযোগ্য রকম সমাদৃত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট-ক্যালকাটা (আইআইএমসি)। কিন্তু এ বার তার মানের ‘উদ্বেগজনক অবনমনের’ অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন সেখানকার পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের বড় অংশ। তাঁদের সংগঠন আইআইএম ক্যালকাটা ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের (আইআইএমসিএফএ) দাবি, এখনকার ডিরেক্টরের আমলেই পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তাঁদের অভিযোগে কার্যত কর্ণপাতই করছেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষাসচিব অমিত খারেকে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছেন আইআইএমসিএফএ-র সেক্রেটারি অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগাযোগ করা হলেও বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, পরিচালনা ও পঠনপাঠনের মান নিয়ে সরাসরি ডিরেক্টর বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এর আগে এমন অভিযোগ ওঠেনি আইআইএমসি-তে। বছর দুয়েক আগে এই প্রতিষ্ঠানেরই প্রাক্তনী অঞ্জু শেঠ ডিরেক্টর পদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নানান অভিযোগ উঠতে শুরু করে। করোনা পরিস্থিতিতেও কয়েক জন পড়ুয়ার খরচ মকুবের আর্জি-সহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক বাধে।

আইআইএমসিএফএ-র অভিযোগ, কর্মীর ঘাটতি, গবেষণার খরচ ছাঁটাইয়ের মতো সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের মানকে ধাক্কা দিয়েছে। পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের সংখ্যা এখন আমদাবাদ ও বেঙ্গালুরুর আইআইএমের চেয়েও কম। শিক্ষা ক্ষেত্রের অন্যতম শীর্ষ শাখা ‘অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল’-এর ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে। এ ছাড়া নির্বাচনের মাধ্যমে দু’জন শিক্ষক প্রতিনিধিকে বেছে নেওয়া হয় বোর্ড অব গভর্নর্সে। কিন্তু অভিযোগ, তার বদলে প্রতিনিধি মনোনয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগ তুলে সংগঠনটির দাবি, দু’জন পদত্যাগ করেছেন। দু’জন ডিন এবং কয়েক জন শিক্ষক প্রশাসনিক দায়িত্ব ছাড়তে চাইলেও তা মানা হয়নি। শিক্ষকদের অভাব-অভিযোগ মীমাংসার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement