সেবি-র কর্ণধার মাধবী পুরী বুচ। —ফাইল চিত্র।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করার এক দিনের মধ্যে চিনের সংস্থায় লগ্নির নতুন অভিযোগ উঠল সেবি-র কর্ণধার মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে। শনিবার কংগ্রেসের দাবি, শুধু যে তিনি বাজার নিয়ন্ত্রকটির পদে থেকে গোপন তথ্য জানার সময়ে নথিভুক্ত শেয়ারে ৩৬.৯ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন, তা-ই নয়। চিন-ভারত ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই টাকা ঢেলেছেন পড়শি দেশের ফান্ডে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, এটা মাধবীর স্বার্থের সংঘাতকেই তুলে ধরে।
গত কয়েক সপ্তাহে বুচের বিরুদ্ধে একাধিক স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। তাতে নাম জড়িয়েছে তাঁর স্বামী ধবল বুচেরও। শনিবার এক্স-এ কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খড়্গের দাবি, নতুন এই অভিযোগই প্রমাণ করে অনেক কিছুই এখনও লুকোনো রয়েছে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে রমেশের প্রশ্ন, তিনি কি জানতেন যে মাধবী নথিভুক্ত শেয়ার লেনদেন করেছেন? বিদেশে বিপুল টাকা ঢেলেছেন? করে থাকলে কোথায় ও কবে? ভারত-চিন উত্তেজনার মধ্যেই লগ্নি করেছেন চিনা সংস্থায়?
কংগ্রেসের পবন খেরা আবার তুলে ধরেছেন মাধবীর লগ্নির তথ্য। তাঁর দাবি, ভ্যানগার্ড টোটাল স্টক মার্কেট ইটিএফ, এআরকে ইনোভেশন ইটিএফ, গ্লোবাল এক্স এমএসসিআই চায়না কনজ়িউমার এবং ইনভেস্কো চায়না টেকনোলজি ইটিএফে লগ্নি করেছেন মাধবী। কংগ্রেস নেতার কটাক্ষ, ‘‘এটা খুবই চিন্তার যে মাধবু বুচ, সেবি কর্ণধার চিনা ফান্ডে টাকা ঢেলেছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই সকলের সামনে চিনকে ক্লিনচিট দিয়েছেন, তখন নিয়ন্ত্রকের শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে সে দেশে ফান্ডের লগ্নির সম্পর্ক থাকা আশ্চর্যের নয়।’’ খেরার আরও বক্তব্য, ২০১৭-২০২১ পর্যন্ত বিদেশে সম্পত্তি ছিল মাধবীর। জানতে চাই কখন সেই তথ্য প্রথম সামনে আসে? এটা কি সত্যি যে মাধবী আগোরা পার্টনার্সের (সিঙ্গাপুর) কাজে পুরোই যুক্ত ছিলেন?