সিকিম বিমানবন্দর ছুঁয়েছে বিমান। —ফাইল চিত্র।
বিমানবন্দর তৈরির পরে পরীক্ষামূলক ভাবে বায়ুসেনার বিমান নেমেছে সেখানে। এ বার সিকিমের পাকইয়ং বিমানবন্দরে নামল বাণিজ্যিক বিমানও। শনিবার এই উড়ানও অবশ্য ছিল পরীক্ষামূলক। তবে ৭০ আসনের বিমানটি সফল ভাবে নামার পরে সামনের গ্রীষ্মের মরসুমে নতুন আশার আলো দেখছেন সিকিমের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এর পরে ডিজিসিএ অনুমতি দিলে নিয়মিত বিমান চলাচল শুরু হবে এই বিমানবন্দর থেকে।
এ দিন সকাল সাড়ে দশটায় কলকাতা থেকে ছেড়ে বাণিজ্যিক বিমানটি পৌনে বারোটা নাগাদ পাকইয়ংয়ে পৌঁছয়। তত ক্ষণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন বিমানবন্দরের আধিকারিক ও বেশ কয়েক জন দর্শনার্থী। বিমানটি নামার সঙ্গে সঙ্গে হাততালিতে ফেটে পড়েন তাঁরা। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে এই বিমানবন্দরটি। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, বিমানবন্দরটি চালু হয়ে গেলে বেশ কিছু পর্যটক সোজা এখানে চলে আসতে পারবেন। বাগডোগরা বিমানবন্দর বা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন হয়ে আসতে হবে না। এ দিন বাগডোগরা পেরিয়ে আসার পরে সেই বিমানবন্দরের ডিরেক্টর রাকেশ সহায় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনিও সিকিমে পর্যটনের উন্নতির কথা বলেন।
১৭০০ মিটার দীর্ঘ ও ৩৩ মিটার চওড়া রানওয়ের এই বিমানবন্দরটি তৈরি করতে ৬০৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এ মাসে ৫ তারিখ সেখানে বায়ুসেনার একটি ডর্নিয়ার বিমান নামে। এ দিনের বিমানটি সফল ভাবে নামার পরেই জল্পনা শুরু হয়ে গেল, এর পরে বিমান মন্ত্রক ছাড়পত্র দিলেই কলকাতা, দিল্লি ও গুয়াহাটি থেকে বিমানে সিকিম চলে আসা যাবে।