দেশে তাপবিদ্যুৎ সংস্থাগুলির কয়লা কেনার জন্য দু’টি পৃথক বৈদ্যতিন নিলাম বা ‘ই-অকশন’ ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক। এখন যে-সমস্ত সংস্থার উৎপাদন বিদ্যুৎ বিক্রি চুক্তির আওতায় নেই, তারা কোল ইন্ডিয়ার কাছ থেকে কয়লা কিনতে পারে না। নতুন নিয়মে ওই সংস্থাগুলিও আগামী মার্চ পর্যন্ত ই-অকশনের মাধ্যমে তা কিনতে পারবে। তাপবিদ্যুৎ শিল্পে কয়লার জোগান বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।
যে-সমস্ত তাপবিদ্যুৎ সংস্থার কয়লা পাওয়ার সুবিধা নেই, তাদের জন্য যতদিন না পাকাপাকি ভাবে কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে, তত দিন এই ব্যবস্থা চালু রাখা হতে পারে বলে মন্ত্রী ইঙ্গিত দেন। দু’টি পদ্ধতিতে ৫০ লক্ষ টন করে কয়লা কেনার ব্যবস্থা থাকবে বলে মন্ত্রী জানান।
শুক্রবার বণিকসভা ভারত চেম্বার অব কমার্সের একটি আলোচনাসভায় এই খবর জানান, কেন্দ্রীয় কয়লা ও বিদ্যুৎমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বলেন, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি সরাসরি ই-অকশনে দরপত্র জমা দিয়ে কয়লা কিনতে পারবে। যে-সমস্ত সংস্থার স্বল্প মেয়াদি বিদ্যুৎ বিক্রি চুক্তি রয়েছে, তারাও এই প্রক্রিয়ায় সামিল হতে পারবে। তবে দু’টি ক্ষেত্রে দামের তারতম্য থাকবে বলে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন। যাদের চুক্তি নেই, তাদের ক্ষেত্রে কয়লা কেনার ‘বেস প্রাইস’ কিছুটা বেশি হবে। কয়লামন্ত্রীর কথায়, যে দু’টি ই-অকশন উইনডো চালু হবে, তাতে যাদের চুক্তি রয়েছে, তাদের জন্য কোল ইন্ডিয়া নির্ধারিত দামের উপর অতিরিক্ত ২০% দাম হবে। যেটি নিলামের ক্ষেত্রে ‘বেস প্রাইস’ হবে। যাদের চুক্তি নেই, তাদের ক্ষেত্রে বেস প্রাইসই হবে অতিরিক্ত ৪০%।
গয়ালের দাবি, গত এক বছরে কোল ইন্ডিয়ার উত্তোলন ক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে তা বেড়েছে ১২%।
আর একটি অনুষ্ঠানে কোল ইন্ডিয়া চেয়ারম্যান সুতীর্থ ভট্টাচার্য জানান, কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি তহবিল থেকে রাজারহাটে টাটা মেডিক্যাল সেন্টারকে ৪১.১১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য ওই হাসপাতলের ক্যানসার রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের থাকার জন্য বিশেষ কেন্দ্র তৈরি করা।