রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
মনমোহন সিংহের জমানার তুলনায় বৃদ্ধির রথ মোদী আমলে কতটা বেশি গতিতে দৌড়চ্ছে, হামেশাই তা তুলে ধরেন কেন্দ্রের নেতা-মন্ত্রীরা। যে বৃদ্ধির অন্যতম অঙ্গ লগ্নি ও বিভিন্ন প্রকল্পের রূপায়ণ। কিন্তু ভোট বছরে সরকারের সেই দাবিকেই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিল সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (সিএমআইই) তথ্য। জানাল, ভারতে সেই সব প্রকল্প শেষ হওয়ার প্রক্রিয়া শ্লথ হয়েছে, যেগুলির হাত ধরে তৈরি হয় উৎপাদনের ক্ষমতা। আর এর জন্য দায়ী নোটবন্দি ও জিএসটি-র জোড়া ধাক্কা। যে ধাক্কায় বৃদ্ধি ধাক্কা খেয়েছে বলে দাবি করেছিলেন প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর রঘুরাম রাজনও।
বিরোধী কংগ্রেসের অভিযোগ, একে তো গত বছরে ব্যাঙ্ক প্রতারণা বেড়েছে ৭২% (রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য), তার উপর লগ্নিও ছুঁয়েছে ১৪ বছরের তলানি। যা তুলে ধরেছে সিএমআইই-র তথ্য। অসমাপ্ত প্রকল্পের ছবি দিয়ে মোদী-জেটলিকে কটাক্ষ করে টুইটও করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।
সিএমআইই-র হিসেব, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সম্পূর্ণ হওয়া প্রকল্পের মূল্য দাঁড়াতে পারে প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকায়। যেখানে রূপায়িত হওয়ার পথে ১০৯ লক্ষ কোটির প্রকল্প।
তাদের দাবি, দেশে লগ্নি পরিবেশ ধাক্কা খাওয়াতেই প্রকল্প শেষের কাজ মন্থর হয়েছে। চাহিদা তেমন না বাড়ায় ধাক্কা খেয়েছে উৎপাদন ক্ষমতা তৈরির পথ। সিএমআইই-র দাবি, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের পর থেকে সম্পূর্ণ হওয়ার অনুপাত নীচে নামছে এখনও। ওই ত্রৈমাসিকেই নোটবন্দি দেখেছিল ভারত।