প্রতীকী ছবি।
এপ্রিলে প্রায় ৬০% কমার পরে ধীরে হলেও মাথা তুলছে ভারতের রফতানি। মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিলের মতে, জুলাইয়ে তা ১০.২% কমেছে ঠিকই। কিন্তু লকডাউনের সময়ের তুলনায় রফতানি বাড়ার পিছনে ইন্ধন জুগিয়েছে চিন-সহ পূর্ব-এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া। গত মাসে মোট রফতানির প্রায় ১৬% হয়েছে এই সব দেশে। যার মধ্যে শুধু চিনেই তা বেড়েছে ৭৮%। যে পড়শি মুলুকের পণ্যের উপরে ভারতের আমদানি নির্ভরতা কমানোর পক্ষে সওয়াল করছে খোদ সরকারই।
পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ অনেক দ্রুত করোনা সংক্রমণকে বেঁধে রাখতে পেরেছে। ফলে সেখানে চাহিদাও পশ্চিমী দুনিয়ার চেয়ে বেশি বাড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে ভারতের বাণিজ্যে। দেখা যাচ্ছে গত মাসে যেখানে ব্রিটেন, আমেরিকার মতো দেশে রফতানি সরাসরি কমেছে, সেখানেই চিনের মতো দেশে বেড়েছে পণ্যের চাহিদা।
যদিও অনেকে মনে করাচ্ছেন, অর্থনীতি খোলার হাত ধরে গত মাসে চিনে রফতানি বেশি মনে হলেও, আগের মাসগুলির তুলনায় বিচার করলে তা হওয়ারই ছিল। আবার চিনা পণ্য বয়কটের ডাকের মধ্যে আগামী দিনে বেজিং ভারতীয় পণ্য রফতানিতে দেওয়াল তুলবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়, সেই প্রশ্নও তুলছেন একাংশ।