প্রতীকী ছবি।
চাল আমদানি নিয়ে নয়া চাল চিনের। ৩ দশক পর প্রথমবার ভারত থেকে চাল কিনতে চলেছে বেজিং। কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, কয়েকটি ভারতীয় ব্যবসায়ী সংস্থাকে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১ লক্ষ টন চাল রফতানির বরাত দেওয়া হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, টন প্রতি ৩০০ ডলার (প্রায় ২২,১২৫ টাকা) দরে চিন চাল আমদানি করবে। ভারতীয় চাল রফতানিকারকদের সংগঠন ‘রাইস এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি বি ভি কৃষ্ণ রাও বুধবার বলেন, ‘‘এই প্রথম চিন আমাদের থেকে চাল আমদানি করতে চলেছে। আশা করি পরবর্তী অর্থবর্ষে চিনে চাল রফতানির পরিমাণ আরও বাড়বে।’’
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের বৃহত্তম চাল রফতানিকারক দেশ। অন্য দিকে, চিন বর্তমানে চাল আমদানিতে বিশ্বে প্রথম। গত বছর অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে প্রায় ৪০ লক্ষ টন চাল আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু ভারত থেকে চাল কেনার ক্ষেত্রে বরাবরই অনাগ্রহ দেখিয়েছে চিন। এ ক্ষেত্রে ভারতীয় চালের দাম এবং মানকে অজুহাত করা হয়েছে। বেজিংয়ের দাবি, তাইল্যান্ড, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে ভাল মানের চাল মেলে। কিন্তু করোনা আবহের জেরে এ বার ওই দেশগুলিতে রফতানিযোগ্য চালের পরিমাণে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পিকে-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ, শীলভদ্র দত্তের দেখা পেলেন না জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সঙ্ঘাতের আবহে এই শি চিনফিং সরকারের এই সিদ্ধান্ত ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কারণ, গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কয়েকশো চিনা মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি বিভিন্ন চিনা পণ্যের আমদানিতেও সরকারি নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডোকলামে বাঙ্কার, অস্ত্রাগারের সারি, ভুটানের জমিতে সেনাঘাঁটি চিনের