এয়ারটেল চেয়ারম্যান সুনীল মিত্তল।—ফাইল চিত্র।
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তলানিতে মাসুল। অথচ মোবাইলের ব্যবহার বাড়ায় ক্রমশ চড়ছে পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন খাতে সংস্থাগুলির খরচের চাপ। এই জাঁতাকলে ফেলে টেলি শিল্পকে কার্যত মেরে ফেলা হচ্ছে বলে দাবি এয়ারটেল চেয়ারম্যান সুনীল মিত্তলের।
তাই গ্রাহক ও লগ্নিকারী, উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের হস্তক্ষেপের আর্জি জানালেন তিনি। তাঁর মতে, বাড়া উচিত গ্রাহক পিছু খরচ।টেলি শিল্পের বৃহত্তম অংশের দাবি, বিশ্বে ভারতেই মোবাইলের খরচ সর্বনিম্ন। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে প্রাক্-বাজেট বৈঠকের পরে মিত্তলও সেই যুক্তি তুলে বলেন, ‘‘ভারতে এই খরচ সব চেয়ে কম হলেও, ব্যবহার দু’তিনগুণ বেশি। গ্রাহক পিছু গড় খরচ মাসে ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ হওয়া দরকার।’’ তাঁর মতে, গ্রাহক ও লগ্নিকারী, উভয়ের স্বার্থের মধ্যে ভারসাম্য রাখা জরুরি। তিনি বলেন, ‘‘শুধু শুধু এই শিল্পকে যে ভাবে হত্যা করছি, তা ঠিক নয়। তাই ট্রাইয়ের হস্তক্ষেপ জরুরি।’’
সম্প্রতি মোবাইল পরিষেবার ন্যূনতম খরচ বাঁধা নিয়ে আলোচনার দরজা খুলেছে ট্রাই। এখন তা বাজার ঠিক করে। পাশাপাশি, দু’টি ভিন্ন সংস্থার মধ্যে ফোন করার ক্ষেত্রে একে অন্যকে যে আইইউসি দেয়, তা আরও এক বছর চালু রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে তারা। মাসুলের পাশাপাশি এই দু’টি বিষয়েও রিলায়্যান্স জিয়োর সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল এয়ারটেল, ভোডাফোনের।