BSNL

বকেয়া নিয়ে ধুন্ধুমার

কর্মীদের অভিযোগ, নতুন নিয়োগ নীতিতে অনেকেই কাজ খুইয়েছেন। তাঁদের ১২ মাসের বেতন বাকি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুলিশের সামনেই মঙ্গলবার দুপুরে ধুন্ধুমার বাধল ব্যারাকপুরে বিএসএনএলের টেলিফোন এক্সচেঞ্জে।

Advertisement

সংস্থার শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্সের (ক্যাল-টেল) ঠিকাদার নিয়োগের নীতি বদল ও পুরনো ঠিকা কর্মীদের বকেয়া বেতন নিয়ে জট বহাল দীর্ঘ দিন। বকেয়ার দাবিতে এ দিন কর্মবিরতি শুরু করেন সেখানকার ঠিকা কর্মীরা।

ক্যাল-টেলের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার বিনয় বিশ্বাস এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান একাংশ। অভিযোগ, বচসার মধ্যে তাঁর উপরে চড়াও হয়ে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। তিনিও কর্মীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে অবস্থায় সামলায় পুলিশ।

Advertisement

কর্মীদের অভিযোগ, নতুন নিয়োগ নীতিতে অনেকেই কাজ খুইয়েছেন। তাঁদের ১২ মাসের বেতন বাকি। ঠিকা কর্মী গোলক দাসের তোপ, “চার কিস্তিতে বকেয়া মেটাবে বলেছিল। তা না-মেলায় কর্মবিরতির ডাক দিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম। পুলিশকেও ডাকা হয়।” মারধরের কথা অস্বীকার করে বিনয়বাবু বলেন, “বিল জমা পড়েনি। কী করে টাকা দেওয়া হবে?”

আর ক্যাল-টেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রথমে বিনয়বাবুকে মারধর করা হয়। অথচ ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বকেয়া বেতনের বিলের টাকা মেটানো হয়েছে। অগস্ট-অক্টোবরের বিল জমার আগেই কর্মীরা তা মেটানোর লিখিত আশ্বাস চান। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মাফিক, ঠিকাদারের বকেয়া বিল দিলে জিএসটি, পিএফ মেটানো হয়েছে কি না খতিয়ে দেখে টাকা দেয় সংস্থা। এ ভাবে ৫৬ কোটি টাকা মেটানো হয়েছে। ক্যাল-টেলের দাবি, বহু ঠিকাদার গত মার্চ পর্যন্ত বিলের টাকা পেয়েছেন। নতুন ও ঠিক বিল জমা পড়লে সেই টাকাও দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement