প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক দিকে কারিগরদের নানা কাজে আর্থিক সাহায্য। অন্য দিকে তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। রাজ্য বাজেটে এমনই একাধিক প্রকল্প চালুর বার্তা দিলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার তিনি জানালেন, বিভিন্ন ধরনের কারিগরদের এককালীন আর্থিক অনুদান হিসাবে মাথাপিছু ১৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে। শিল্প সমবায় সমিতি পাবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এর জন্য ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল আর্টিজ়ানস ফিনান্সিয়াল বেনিফিট স্কিম’ চালু হবে। প্রস্তাব অনুযায়ী, কারিগরেরা ওই টাকা যন্ত্র কিনতে বা তৈরি পণ্য বিপণনের জন্য খরচ করতে পারবেন। কাজের জন্য শেড তৈরি বা তা মেরামতের তহবিলও জোগাবে প্রকল্পটি। এ দিন বাজেটে সেই খাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চন্দ্রিমা জানান, এ বছর ২ লক্ষ কারিগর প্রকল্পে আসবেন। ৪ বছরে যোগ হবেন আরও ৮ লক্ষ জন।
এর পাশাপাশি কারিগর এবং তাঁতিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চন্দ্রিমা বলেছেন ‘আর্টিজ়ানস অ্যান্ড উইভার্স (ডেথ বেনিফিট) স্কিম’-এর কথা। প্রকল্পে নথিভুক্ত ১৮-৬০ বছর বয়সি কারিগর বা তাঁতির প্রাকৃতিক কারণে অথবা দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে, তাঁর পরিবারের সদস্যেরা পাবেন এককালীন ২ লক্ষ টাকা। এই খাতে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন চন্দ্রিমা।
প্রকল্প দু’টিকে স্বাগত জানিয়েছেন গয়না তৈরির কারিগরদের সংগঠন বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দার। তবে তিনি বলেন, ‘‘শেড তৈরি বা মেরামত করতে কিংবা পণ্য বিপণনের জন্য ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তাতে তাঁদের সমস্যার সমাধান সামান্যই হবে।
তবু কারিগরদের নিয়ে রাজ্য আলাদা করে ভাবছে, তাতে আমরা খুশি।’’
হস্তচালিত তাঁত ও খাদি শিল্পের কর্মীদের জন্যও ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হ্যান্ডলুম অ্যান্ড খাদি উইভার্স ফিনান্সিয়াল বেনিফিট স্কিম’ প্রকল্প আনা হয়েছে বাজেটে। মূলত ৫০০টি প্রাইমারি উইভার কোঅপারেটিভ সোসাইটি, ২০০টি খাদি সোসাইটি ও হস্তচালিত তাঁতিদের মূলধন জোগাড়ে সাহায্য করা এবং ভর্তুকিযুক্ত সুতোর জোগান দিতে আনা হয়েছে এটি। সঙ্গে সোসাইটিগুলির অনুৎপাদক সম্পদের এককালীন রফাও হবে এই প্রকল্পের আওতায়। চন্দ্রিমার দাবি, এই বাবদ বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। উপকৃত হবেন ৪ লক্ষ তাঁতি।