ফাইল চিত্র।
জ্বালানির খরচ দ্রুত বাড়ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী এবং বণ্টন সংস্থাগুলির বাড়তি বোঝা সামলানোর যুক্তিতে তাই বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করলেন সিইএসসি-র চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েন্কা। এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্মতি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য এবং বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনগুলি উদাসীন বলেও ইঙ্গিত তাঁর। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিংহও মাসুল বৃদ্ধির কথা বলেছিলেন। তবে আমজনতার বক্তব্য, তেল, রান্নার গ্যাস-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চড়া দাম এমনিতেই সংসার খরচকে মাত্রাছাড়া করেছে। বিদ্যুতের খরচ বাড়লে বিপদ বাড়ত।
শুক্রবার অনলাইনে সিইএসসি-র বার্ষিক সভায় এবং প্রতিবেদনে সঞ্জীব বলেছেন, দেশের আর্থিক উন্নতি অনুযায়ী বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লে আশা করা যায় সংস্থার আয়ও বাড়বে। কিন্তু সেই পথে বাধা জ্বালানির খরচ। তাঁর বার্তা, ‘‘বিদ্যুৎ জোগানের চুক্তি অনুযায়ী এমন পরিস্থিতিতে মাসুল বদলের কথা থাকলেও, রাজ্য ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনগুলি সে ব্যাপারে সময়ে সম্মতি দেওয়া নিয়ে উদাসীন। যা বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাবে ফেলে।’’ উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে মাসুল হারের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সে জন্য কমিশনের কাছে আবেদনও করেছে সিইএসসি।
বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের একাংশের দাবি, বণ্টন সংস্থাগুলি মাসুল সে ভাবে না বাড়ানোয় উৎপাদনকারীর উপরে চাপ পড়ছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের নির্দেশে চড়া দামে কয়লা আমদানি করতে গিয়ে উৎপাদনের খরচ আরও বাড়ছে।