প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রের কাছে ফের আর্জি গেল বিপদ থেকে উদ্ধারের। এক দিকে ভোডাফোন আইডিয়া (ভিআইএল) অবিলম্বে সাহায্যের আবেদন জানাল। অন্য দিকে চিঠি পাঠাল টেলিকম শিল্পের সংগঠন সিওএআই। সরকারকে পাশে চেয়ে প্রায় একই রকম সাহায্যের। কেন্দ্রকে বকেয়া স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি মেটানো নিয়ে টেলিকম শিল্পের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ, শুক্রবার বৈঠকে বসতে পারে টেলিকম দফতরের (ডট) সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক শাখা ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স কমিশন (ডিসিসি)। সেখানেই সংস্থাগুলির আর্জি মানা হয় কি না, হলেও কতটা, সেই প্রশ্নের উত্তর অথবা খানিকটা ইঙ্গিত মিলতে পারে বলে আশা সংশ্লিষ্ট মহলের। ফলে সকলের নজর এখন সে দিকে।
সূত্রের খবর, সরকারের সাহায্য না-পেলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ৫৩,০০০ কোটি টাকার বকেয়া মেটানো কার্যত অসম্ভব বলে বার্তা দিয়েছে ভিআইএল। বকেয়া মেটানোর নিয়ম শিথিলের পাশাপাশি সংস্থাগুলির আয় বাড়ানো ও বোঝা কমানোর কথাও বলেছে তারা।
অন্য দিকে, টেলিকম সচিব অংশু প্রকাশকে পাঠানো চিঠিতে সিওএআইয়ের ডিজি রাজন এস ম্যাথুজ়ের দাবি, ২০ বছর ধরে দেশে বিশ্ব মানের মোবাইল পরিকাঠামো গড়তে সংস্থাগুলি ১০.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা ঢেলেছে। স্পেকট্রাম কেনায় ২০১০ সাল থেকে মেটাতে হবে ৩.৬৮ লক্ষ কোটি। ধার প্রায় ৭ লক্ষ কোটি। ভবিষ্যতেও প্রচুর লগ্নি জরুরি। অথচ তাদের ব্যবসা ও মুনাফা কমেছে। জিএসটি রিফান্ড খাতে প্রাপ্য প্রায় ৪০ হাজার কোটি মেলেনি। মাসুল হার ও গ্রাহক পিছু আয়ও বিশ্বে তাদেরই সর্বনিম্ন। তার উপরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ঘাড়ে চেপেছে বিপুল বকেয়া। তাই এই টাকা মেটাতে বাড়তি সময় বা বিকল্প সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে সিওএআই। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায় সত্ত্বেও কেন্দ্র কী ভাবে বাড়তি সময় দিতে পারে, তা স্পষ্ট হয়নি। প্রায় একই দাবি জানিয়ে ভিআইএল বলেছে, শিল্পের সব কর্মী ও গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে কেন্দ্রের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া জরুরি।