—ফাইল চিত্র।
খাতায়-কলমে নিয়ম থাকলেও বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই সেই অনুযায়ী পরিষেবা পান না গ্রাহকেরা— বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেই অভিযোগ-সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ের সমাধানের লক্ষ্যেই এ বার উদ্যোগী হল কেন্দ্র। তার জন্য ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি আইনি খসড়া প্রস্তাব বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব, বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং বণিকসভাগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মতামত ও পরামর্শ জমা দিতে হবে তাদের।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গ্রাহকেরা যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ পান সে ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে খসড়ায়। প্রস্তাব রয়েছে সংযোগের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার। সহজ করা হয়েছে নথি জমা দেওয়ার বিষয়টি।
খসড়ায় বলা হয়েছে, ১০ কিলোওয়াট পর্যন্ত নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদনকারীকে মাত্র দু’টি নথি দিলেই চলবে। এখন যেখানে অনেক রকম নথি চাওয়া হয়। এ ছাড়াও মেট্রো শহরগুলিতে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের সময়সীমা হতে চলেছে সাত দিন। পুর এলাকাগুলিতে তা ১৫ দিন এবং গ্রামাঞ্চলে ৩০ দিন। গ্রাহকদের জন্য বিনা খরচে ২৪ ঘণ্টার কলসেন্টার, সাধারণ কয়েকটি পরিষেবার জন্য ওয়েবসাইট বা মোবাইলভিত্তিক বিশেষ ব্যবস্থা চালু করার কথা বলা হয়েছে। যাতে সেগুলির মাধ্যমেই গ্রাহকেরা নতুন সংযোগ পাওয়া, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, ফের সংযোগ চাওয়া, অন্য ঠিকানায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে যাওয়া, মিটার পরিবর্তন, বাড়ির বিদ্যুতের লোড বাড়ানো বা কমানো, বিদ্যুৎ পরিষেবা না-থাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জানাতে পারেন।
গ্রাহকের জন্য • ১০ কিলোওয়াট পর্যন্ত সংযোগে দু’টি নথি। • মেট্রো শহরে নতুন সংযোগ সাত দিনে। পুর এলাকায় ১৫ দিনে, গ্রামে ৩০ দিনে। • সংযোগ পাওয়া, বিচ্ছিন্ন করা, লোড বাড়ানো-সহ কয়েকটি পরিষেবার আবেদন ওয়েবসাইট, মোবাইলের মাধ্যমে। • অভিযোগ শোনার জন্য গ্রাহকদের ফোরাম গঠন।
সেই সঙ্গে নগদে, চেকে ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে বিল মেটানোর পাশাপাশি, ১০০০ টাকার উপরে বিল হলে তা অনলাইনে মেটানোর ব্যবস্থার প্রস্তাব রয়েছে।