ফাইল চিত্র।
সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের আমানত সংক্রান্ত তথ্য পেতে সুইৎজ়ারল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছে দিল্লি। সেই অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে প্রথম দফার তথ্য পেয়েছে ভারত। কিন্তু তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের করা এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী গোপনীয়তার শর্ত মেনে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্যও দেয়নি কেন্দ্র।
তথ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তার প্রাচীর কাজে লাগিয়ে সুইস ব্যাঙ্কে সারা পৃথিবী থেকে আয়কর ফাঁকির টাকা জমা পড়ে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ। গত কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি দেশ এই তথ্য সরবরাহের ব্যাপারে চাপ তৈরি শুরু করে সুইৎজারল্যান্ডের উপরে। অবশেষে ভারত-সহ ৭৫টি দেশের সঙ্গে তথ্য সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি হয় সুইস সরকারের।
নয়াদিল্লি ইতিমধ্যে সুইৎজারল্যান্ড থেকে তথ্য পেতে শুরু করেছে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, দু’দেশের চুক্তি অনুযায়ী সেই তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। বিদেশ থেকে পাওয়া এই সংক্রান্ত তথ্যের গোপনীয়তার শর্তও রয়েছে আরটিআই আইনের ধারায়। তবে অনেকের মতে, বহু ভারতীয় সম্ভবত অনেক আগেই তহবিল সরিয়ে সুইস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন।
এর আগে মে মাসেও আরটিআই আইনে এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই সময়েও গোপনীয়তার শর্ত দেখিয়েছিল কেন্দ্র। সরকারের যুক্তি, বিদেশে গচ্ছিত টাকা মানেই কালো টাকা নয়। তদন্তের পরে কালো টাকার মালিকদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হবে। তখনই যাবতীয় তথ্য সামনে আসবে।