নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিইএমএলে কেন্দ্র তাদের হাতে থাকা ২৮% অংশীদারি বিক্রি করতে (স্ট্র্যাটেজিক ডিসইনভেস্টমেন্ট) পারে বলে জানিয়েছেন সংস্থার এক পদস্থ আধিকারিক। সে ক্ষেত্রে সংস্থাটিতে সরকারের হাতে রয়ে যাবে প্রায় ২৬% শেয়ার। খনন ও নির্মাণের ভারী যন্ত্রাংশ তৈরির এই সংস্থাটি এখন রেলের কোচ, ডিজেল ইঞ্জিন ও প্রতিরক্ষা সামগ্রীও তৈরি করে। যার ৫৪.০৩% অংশীদারি রয়েছে কেন্দ্রের ঝুলিতে।
বস্তুত, ২০১৬ সালের অক্টোবরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটি ২৬% বিলগ্নিকরণের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল। ওই কর্তার দাবি, ‘‘এ বার কেন্দ্র সংস্থায় তাদের ২৮% শেয়ার বেচে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার প্রাথমিক প্রস্তুতি পর্ব শুরুও হয়ে গিয়েছে। তবে বিইএমএলের ব্যবসাগুলিকে আলাদা করার কোনও পরিকল্পনা নেই।’’
বাজেটে চলতি অর্থবর্ষে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ থেকে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা জোগাড়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র। তবে সেই লক্ষ্য এখনও অনেক দূরে। তার উপরে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কর্পোরেট কর ছাঁটাইয়ের মতো সরকারের একের পর এক পদক্ষেপে বাড়ছে খরচ। কর আদায়েও প্রত্যাশা ছুঁতে পারছে না। ফলে বাড়ছে রাজকোষ ঘাটতি বেলাগাম হওয়ার আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে গত মাসে তড়িঘড়ি একসঙ্গে পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তে সিলমোহর বসিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ঠিক হয়েছে ভারত পেট্রোলিয়াম, কনটেনার কর্পোরেশন, শিপিং কর্পোরেশন, নিপকো ও তেহরি জল বিদ্যুৎ নিগম— এই পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় সরকারের অংশীদারি ৫১ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনা হবে। বিপিসিএল, শিপিং কর্পোরেশন ও কনকরের শেয়ার বেচার পাশাপাশি তিন সংস্থার পরিচালনার নিয়ন্ত্রণও বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে।
তবে নিপকো এবং টিএইচডিসি-র ক্ষেত্রে অবশ্য বিলগ্নিকরণ নিছক সরকারের মধ্যে হাতবদলে আটকে থাকবে। কারণ এই দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনটিপিসি ও এনএইচপিসি কিনে নিতে পারে। বিপিসিএলের অধীন অসমের ন্যুমালিগড় রিফাইনারির অবশ্য বেসরকারিকরণ হবে না।