কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ছবি: পিটিআই
আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাব পেশ করতে পারে কেন্দ্র। যা হতে পারে দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। কাল, সোমবার থেকে সেই বাজেট তৈরির প্রস্তুতি পর্ব শুরু করবে অর্থ মন্ত্রক। বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, প্রতিকূল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে বৃদ্ধির গতি ধরে রাখাই সেই পর্বের প্রধান চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক-সহ বহু সংস্থা চলতি অর্থবর্ষের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করলেও রবিবার এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যালের আশ্বাস, এই অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ৭% ছুঁতে ভারতের সমস্যা হবে না। সহমত হয়েও জাপানের ব্রোকারেজ সংস্থা নোমুরার সতর্কবার্তা, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা না হলে আগামী অর্থবর্ষে অর্থনীতির গতি মন্থর হতে পারে।
প্রত্যেক বছর এই সময়েই পরবর্তী বাজেটের প্রস্তুতি শুরু হয়। সূত্রের খবর, প্রথমে বিভিন্ন মন্ত্রক এবং দফতরের সঙ্গে চলতি অর্থবর্ষের সংশোধিত খরচ নিয়ে আলোচনা হবে। তার ভিত্তিতেই কষা হবে পরের অর্থবর্ষের হিসাব। সোমবার পরিবেশ, শ্রম, তথ্য-সম্প্রচার, পরিসংখ্যান, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রকের বৈঠক হওয়ার কথা। বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক পর্ব শেষ হতে পারে ১০ নভেম্বর। তার ভিত্তিতেই বাজেটের প্রাথমিক হিসাব তৈরি হবে।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, অতিমারির ধাক্কার পর অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর কথা স্বীকার করে নিলেও পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবর্ষের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করেছে বিভিন্ন মূল্যায়ন সংস্থা। অতি সম্প্রতি তা ১০০ বেসিস পয়েন্ট ছেঁটে ৬.৫ শতাংশে নামিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। তবে সঞ্জীববাবু এ দিন বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত ভাবেই এমন সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি, যখন বহু দেশের বৃদ্ধির হার কমতে চলেছে। কেউ কেউ হয়তো মন্দার খাদেও পড়বে। এর মূল কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অর্থনীতির ধাক্কা খাওয়া, জ্বালানির খরচ এবং সুদ বৃদ্ধি। এই অবস্থায় ভারতের পারফরম্যান্স সম্ভবত বড় অর্থনীতিগুলির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হতে চলেছে। এই অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার থাকতে পারে ৭ শতাংশের আশেপাশে।’’
নোমুরা অবশ্য এ বছর ৭% বৃদ্ধির কথা বলেও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। জানিয়েছে, তাকে গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা না করলে পরের অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ৫.২ শতাংশে নামতে পারে।