প্রতীকী ছবি
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ খাতে আগামী অর্থবর্ষে ২.১ লক্ষ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্য স্থির করেছে কেন্দ্র। কার্যত সেই লক্ষ্য পূরণের জমি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেল শনিবারই, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা ভারত পেট্রোলিয়ামকে (বিপিসিএল) দিয়ে। সংস্থাটিতে নিজেদের ৫২.৯৮% অংশীদারির পুরোটাই বেসরকারি হাতে তুলে দিতে প্রথম ধাপে এ দিন আগ্রহপত্র চাইল লগ্নি ও সরকারি সম্পদ পরিচালন দফতর (দীপম)। তা জমা দিতে হবে ২ মে-র মধ্যে।
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল শোধন সংস্থাটির কৌশলগত এই বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়া দু’টি ধাপে হবে। প্রথমে, প্রস্তাবিত আগ্রহপত্র জমা দেবে ইচ্ছুক ক্রেতা। তাদের মধ্যে থেকে যোগ্য সংস্থাগুলিকে বাছাই করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে সংস্থা কেনার জন্য তাদের থেকে আর্থিক দরপত্র চাওয়া হবে।
গত নভেম্বরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিপিসিএলে কেন্দ্রের পুরো অংশীদারি বিক্রি করার প্রস্তাবে সায় দেয়। সম্প্রতি এই বিক্রিতে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রের আন্তঃমন্ত্রিগোষ্ঠীও। পরিকল্পনা কার্যকর হওয়ার পরে এটিই হবে এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বৃহত্তম বেসরকারিকরণ।
প্রস্তাব অনুযায়ী, অংশীদারি বিক্রির পাশাপাশি বিপিসিএল পরিচালনার রাশও ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে এই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা অংশ নিতে পারবে না। যে সব বেসরকারি সংস্থার নিট সম্পদ ১০০০ কোটি ডলার তারাই দরপত্র দরপত্র জমা দেওয়ার যোগ্য। জোট বেঁধে সংস্থাটি কেনার দৌড়ে নামতে পারবে সর্বাধিক ৪টি সংস্থা। তবে জোটের প্রধান সংস্থাটির অংশীদারি হতে হবে ৪০%। বাকি তিন পক্ষের নিট সম্পদ থাকতে হবে ন্যূনতম ১০০ কোটি ডলার। জোটের মধ্যে বদলের সময় মিলবে ৪৫ দিন। কিন্তু নেতৃত্বে থাকা সংস্থাকে বাদ দেওয়া যাবে না।
সংস্থার নুমালিগড় শোধনাগারে কেন্দ্রের যে ৬১.৬৫% শেয়ার রয়েছে, তা অবশ্য বেসরকারিকরণ হচ্ছে না। ওই অংশীদারি সরকারি কোনও তেল ও গ্যাস সংস্থাকে বিক্রি করার কথা।