—ফাইল চিত্র।
হিসাব বহির্ভূত সোনার ক্ষেত্রে এ বার কড়াকড়ি শিথিল করার পথে হাঁটছে কেন্দ্র। কর ফাঁকি দিয়ে এত দিন ঘরে সোনা মজুত করে রাখতেন যাঁরা, কঠোর আইনি ব্যবস্থার পরিবর্তে তাঁদের ক্ষমা করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। সে ক্ষেত্রে আয়কর দফতরকে মজুত সোনার হিসাব দিতে হবে তাঁদের। সেই সোনার উপর যে কর এবং জরিমানা ধার্য হবে, তা-ও মিটিয়ে দিতে হবে। তাহলেই সাজা থেকে রেহাই মিলবে।
করফাঁকি রুখতে এবং বিদেশ থেকে সোনার আমদানি কমাতেই এ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই প্রস্তাব এসেছে। তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে। খুব শীঘ্র এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিক কত পরিমাণ সোনা ঘরে মজুত রয়েছে, প্রথমে তা জানাতে হবে আয়কর দফতরকে। সেই অনুযায়ী তার উপর কর ও জরিমানা ধার্য হবে। তা মিটিয়ে দেওয়ার পর ওই সোনা বৈধ বলে ঘোষিত হয়ে যাবে। তবে সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ওই পুরো সোনা নিয়ে যেতে পারবেন না মজুতকারী। বরং কয়েক বছর সরকারের কাছে তার কিছুটা জমা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ভুটানেও এলাকা দাবি চিনের, ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে বেজিং, বলল আমেরিকা
আরও পড়ুন: দেশে দু’দিনে আক্রান্ত লক্ষাধিক, সংক্রমণ হার কমে ৮.৫৭ শতাংশ
বেহিসেবি সোনার কোষাগারের নাগাল পেতে এর আগে, ২০১৫ সালে একটি ত্রিস্তরীয় যোজনা সামনে আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে বলা হয়, সোনার ‘ফিজিক্য়াল ডিম্যান্ড’ (ব্যক্তিগত চাহিদা) কমাতে হবে। কমাতে হবে বিদেশ থেকে সোনার আমদানি। মানুষকে বিকল্প জায়গায় বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু সেই যোজনা সাধারণ মানুষের মনঃপুত হয়নি।
তবে করোনা সঙ্কটের মধ্যে গত কয়েক মাসে সোনা ও রুপোর দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কে সুদের হার কমতে থাকায় সোনা কিনে বিনিয়োগেই এখনও আস্থা মানুষের। তার জেরে তর তর করে বেড়ে চলেছে সোনার দাম। বৃহস্পতিবার দেশের প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫০ হাজার ৭০৭ টাকা। প্রতি কিলোগ্রাম রূপোর দাম দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৪০০ টাকায়।