প্রতীকী ছবি।
স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে এসএমএস বা ফোন যাচ্ছে গ্রাহকের কাছে। সেখানে বলা হচ্ছে, অবিলম্বে নো ইয়োর কাস্টমারের (কেওয়াইসি) নথি জমা দেওয়ার কথা। না-হলে অ্যাকাউন্ট পাকাপাকি বন্ধ হবে। এই ধরনের এসএমএস নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার। তারা জানাল, এ ধরনের এসএমএস এবং ফোন আসলে জালিয়াতি। তাই যেন এগুলির উত্তর না-দেন গ্রাহকেরা। বরং তা যেন অবিলম্বে মুছে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এসএমএসের মাধ্যমে আসা কোনও লিঙ্কেও ক্লিক না-করতে পরামর্শ দিয়েছে ব্যাঙ্কটি।
স্টেট ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, এতে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ জন্য ইতিমধ্যেই যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের সতর্ক করতে সরকারের প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। কোনও গ্রাহক যদি জালিয়াতির শিকার হন, তা হলে সেই ঘটনা সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে টোল ফ্রি নম্বরে (১৮০০১১১১০৯) যোগাযোগ করতেও বলেছে এসবিআই। পাশাপাশি তাঁকে অভিযোগ দায়ের করতে হবে নিজের ব্যাঙ্কের শাখা, স্থানীয় থানা ও সাইবার সেলে।
উল্লেখ্য, করোনায় বেড়েছে ডিজিটাল লেনদেন। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঘটনাও। যা সামলাতে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি হিমশিম খাচ্ছে বলে উঠে এসেছে বিভিন্ন সমীক্ষায়। ব্যাঙ্কের তো বটেই, এই ধরনের এসএমএস আসছে মোবাইল সংস্থা, গাড়ি সংস্থা এমনকি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার নাম করেও। প্রতি ক্ষেত্রেই গ্রাহকের নথির মাধ্যমে তাঁর গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ব্যাঙ্কিং এবং সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞেরা। যে কারণে আগেই গ্রাহকদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। বলছেন, ব্যাঙ্ক কখনওই মোবাইলে লিঙ্কের মাধ্যমে কেওয়াইসি আপডেট করতে বলে না। তার সময় হলে গ্রাহকের কাছে এসএমএস যায়। শাখায় গিয়ে আপডেট করতে হয়। গ্রাহকের পিন, অ্যাকাউন্ট নম্বর বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও চাওয়া হয় না বলেও সতর্ক করছেন তাঁরা।