Telecom

Telecom: টেলিকমে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় নীতি

আড়াই বছর আগে এজিআরের হিসাব কষার ক্ষেত্রে ডটের হিসাবকে মান্যতা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরে টেলিকম লাইসেন্স নেওয়া সব সংস্থাকেই বকেয়া চেয়ে নোটিস দেয় ডট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২২ ০৮:০৩
Share:

ফাইল চিত্র।

টেলিকম পরিষেবায় সার্বিক আয়ের (এজিআর) ভিত্তিতে বকেয়া স্পেকট্রাম এবং লাইসেন্স ফি আদায়ের ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থাকে কেন্দ্র ছাড় দিতে পারে না, জানাল এই ক্ষেত্রের আপিল আদালত টিডিস্যাট। তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর (ডট) বেসরকারি সংস্থার থেকে ওই বকেয়া উসুল করবে আর সরকারি সংস্থা ছাড়ের সুবিধা ভোগ করবে, দু’ক্ষেত্রে সরকারের নীতি এমন আলাদা হতে পারে না।

Advertisement

আড়াই বছর আগে এজিআরের হিসাব কষার ক্ষেত্রে ডটের হিসাবকে মান্যতা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরে টেলিকম লাইসেন্স নেওয়া সব সংস্থাকেই বকেয়া চেয়ে নোটিস দেয় ডট। কিন্তু রেলটেল, ওএনজিসি, পাওয়ার গ্রিড, অয়েল ইন্ডিয়া-সহ ১৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ওই লাইসেন্স থাকলেও, টাকা মেটানো দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাদের। ফলে সেই খাতে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা ছেড়েছে সরকার। ডটের যুক্তি ছিল, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি টেলি পরিষেবা থেকে নামমাত্র আয় করে। আর্থিক দুর্বলতা ও জনস্বার্থ রক্ষার যুক্তিতে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-কেও বকেয়া মেটানো থেকে ছাড় দেয় তারা।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে এজিআরের বকেয়া থেকে ছাড় দেওয়ার আর্জি ২০২০ সালের নির্দেশে খারিজ করেছিল টিডিস্যাট। ফের তা পুনর্বিবেচনার আর্জির প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক নির্দেশে তারা সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের মধ্যে কেন্দ্রীয় নীতির ফারাক নিয়ে আপত্তি তুলেছে। বলেছে, সরকারি সংস্থাকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে যদি বেসরকারিদেরও একই সুযোগ দেওয়া হয়। টেলিকম লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যবস্থার সুযোগ নেই। লাইসেন্সের চুক্তি অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে দায় এক। ব্যবসায় সাম্য, স্বচ্ছতা ও সমান পরিস্থিতির বিচারেও একই যুক্তি। নামমাত্র আয়ের যুক্তিতে ছাড় দেওয়ার আইনি ভিত্তিও নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement