সাম্প্রতিক অতীতে গাড়ি বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে। সূত্রের খবর, শোরুমে মজুত গাড়ি পুরোপুরি বিক্রি না হওয়ায় কারখানা কিছু দিনের জন্য বন্ধ রাখছে বিভিন্ন সংস্থা। ঝাঁপ ফেলেছেন বহু ডিলার। কাজ হারিয়েছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে বিক্রি বাড়াতে জিএসটি কমানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে মোদী সরকার। নতুন সরকার গঠনের পর শুক্রবার জিএসটি পরিষদের প্রথম বৈঠক। সেখানে গাড়ির জিএসটি ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সরকারি সূত্রের দাবি। কথা হতে পারে বৈদ্যুতিক গাড়ির জিএসটি ১২% থেকে ৫% করা নিয়েও। এক বছর বাড়ানো হতে পারে অ্যান্টি প্রফিটিয়ারিং কর্তৃপক্ষের মেয়াদ।
এখন গাড়ির উপরে সর্বোচ্চ হারে (২৮%) জিএসটি চাপে। ছোট যাত্রিবাহী গাড়িতে তার উপরে ১% থেকে ৩% হারে সেস দিতে হয়। বড় ও দামি গাড়িতে সেস ২০% থেকে ২২%। এক সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, গাড়ির ভাল বিক্রি পোক্ত অর্থনীতির লক্ষণ। কিন্তু এখন অর্থ মন্ত্রকের কর্তারাও গাড়ি শিল্পে সমস্যার কথা মানছেন। উল্লেখ্য, মে মাসে গাড়ির বিক্রি ২০% কমেছে। যা ১৮ বছরে সর্বাধিক। এই অবস্থায় গাড়ি শিল্পের কর্তারা দাবি তুলেছেন, সব গাড়িতেই জিএসটি ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করা হোক। যদিও অনেকের বক্তব্য, জিএসটি থেকে মোট আয়ের প্রায় ১০ শতাংশই আসে গাড়ি থেকে। ফলে গাড়ির জিএসটি কমলে সরকারের আয়ও কমবে।
গাড়ি ডিলারদের সংগঠন ফাডার প্রেসিডেন্ট হর্ষরাজ কালের দাবি, নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে জিএসটি রিটার্ন দাখিল না করলে বাড়তি কর ও জরিমানা বাবদ সুদ দিতে হয়। কিন্তু তার হিসেব কষা হচ্ছে কাঁচামালের কর বাদ না দিয়ে। তা নিট করের ভিত্তিতে করা হোক।