অর্থ ও তেল মন্ত্রকের কর্তাদের মতে, অশোধিত তেল চড়লে তা বাজেটের অঙ্কেও প্রভাব ফেলবে। প্রতীকী ছবি।
কোভিড রোখার কঠোর নীতি থেকে সরে এসে চিন অর্থনীতিতে গতি আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে অশোধিত তেলের চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনা। যা ফের তার দাম বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা। মোদী সরকারের অন্দরমহলে উঠেছে প্রশ্ন, বিশ্ব বাজারে তেল কি ফের ১০০ ডলারের কাছে পৌঁছতে পারে? দাম বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে তাই নতুন করে অঙ্ক কষতে শুরু করেছে কেন্দ্র। অর্থ ও তেল মন্ত্রকের কর্তাদের মতে, অশোধিত তেল চড়লে তা বাজেটের অঙ্কেও প্রভাব ফেলবে।
সরকারি সূত্রের দাবি, জি৭ গোষ্ঠীর দেশগুলি রুশ তেলের দামের ঊর্ধ্বসীমা ৬০ ডলারে বাঁধলেও ভারত তা কিনছে ব্যারেলে ৫৩-৫৬ ডলারে। কিন্তু তার পরিমাণ মোট আমদানির তুলনায় সামান্য। ফলে অশোধিত তেলচড়লে কী হবে, সেই উদ্বেগ থাকছে।
তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর তোপ, কেন্দ্র ২০২১-এর নভেম্বর থেকে দু’বার তেলে উৎপাদন শুল্ক ছেঁটে মানুষকে সুরাহা দিয়েছে। কিন্তু ভ্যাট কমায়নি বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলি। বিজেপির অভিযোগ, উল্টে ক্ষমতায় এসেই হিমাচলে ডিজ়েলে লিটারে ৩ টাকা ভ্যাট বাড়িয়েছে কংগ্রেস। যার কারণ পুরনো পেনশন প্রকল্প চালু-সহ যে সব খয়রাতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তার অর্থ জোগাড়।