—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাজারে আনাজের দাম কমার লক্ষণ নেই। বরং তা এতটাই আগুন যে, হাত ছোঁয়ানো কঠিন হচ্ছে সাধারণ মানুষের পক্ষে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ছবিটা আশঙ্কাজনক সারা দেশেই। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, হেঁশেলের খরচ কিছুটা অন্তত কমিয়ে গৃহস্থকে একটু স্বস্তি দিতে পারছে না কেন সরকার বা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক? কেন্দ্র অবশ্য বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ, টোম্যাটোর মতো খাদ্যপণ্যের জোগান বাড়ানোর ব্যবস্থা করে স্বস্তি দেওয়ার বার্তাই দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, সামনে দিওয়ালি। তার আগে অত্যধিক চড়ে থাকা আনাজগুলির দাম কমাতে কার্যত মরিয়া সরকার।
এ দিন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের সচিব নিধি খারে জানান, মহারাষ্ট্র থেকে রেলপথে দিল্লি যাবে ১৬০০ টন পেঁয়াজ। বিশেষ রেক লাসালগাঁও স্টেশন থেকে তা তুলে কিষাণগঞ্জে পৌঁছবে পরশু। রেলপথে এ ভাবে খাদ্যপণ্য সরবরাহ দেশে এই প্রথম। আসাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, উত্তরপ্রদেশেও এ ভাবে দাম কমানোর ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া আগের দরে পাইকারি বাজারে নিলামও করা হবে পেঁয়াজ। পাশাপাশি খারে জানান, ঘুরে ঘুরে বিক্রির ভ্যান, নাফেড, এনসিসিএফের মতো সমবায় সংস্থা, নেট বাজার, মাদার ডেয়ারির সফল বিপণি, কেন্দ্রীয় ভান্ডারের মতো খুচরো বাজারে বিক্রির বিভিন্ন জায়গাগুলিকে ভর্তুকির দামে পেঁয়াজ দিচ্ছেন তাঁরা। বিভিন্ন রাজ্যে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই, দাম যেন না বাড়তে পারে।
মহারাষ্ট্র থেকে নয়াদিল্লির বাজারে টোম্যাটোর জোগানও বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন খারে। সেই সঙ্গে সরকার দিল্লি ও তার সংলগ্ন রাজধানী অঞ্চল এবং মুম্বইয়ে সমবায় সংস্থা এনসিসিএফ মারফত কম দামে টোম্যাটো বিক্রি করবে।