এখন পেট্রলের সঙ্গে ১০% ইথানল মেশানো তেল চালু গাড়িতে ব্যবহার করা যায়। প্রতীকী ছবি।
চলতি ইথানল জোগান-বর্ষে (নভেম্বর-অক্টোবর) পেট্রলের সঙ্গে ১২% এবং সেই হিসাবে ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ২০% ইথানল মেশানোর (ই-২০) লক্ষ্য কেন্দ্রের। বৃহস্পতিবার খাদ্যসচিব সঞ্জীব চোপড়ার দাবি, আখ-সহ বিভিন্ন শস্য থেকে ইথানলের জোগান বাড়িয়ে তা পূরণ হবে। শীঘ্রই দেশের ১৫টি শহরে শুরু হবে ই-২০ জ্বালানির পরীক্ষামূলক জোগানও।
দূষণ ও তেলের আমদানি খরচ কমাতে আমেরিকা, ব্রাজ়িল-সহ বিভিন্ন দেশের মতো ভারতও পেট্রলে ইথানলের ভাগ বৃদ্ধির পথে হাঁটছে। খাদ্য মন্ত্রকের দাবি, ৬০ লক্ষ টনেরও বেশি উদ্বৃত্ত চিনি ইথানল তৈরিতে লাগবে। ফলে চিনির দাম পড়ার আশঙ্কা কমবে। ১.৬৫ কোটি টন শস্য ব্যবহৃত হওয়ায় উপকৃত হবেন চাষিরা। চোপড়ার দাবি, ই-২০ গ্রামে ৪০,০০০ কোটি টাকার লগ্নি ও বিপুল কাজের সুযোগ খুলবে। বছরে তেল আমদানি খাতে খরচ কমবে প্রায় ৫০,০০০ কোটি। ২০২৫-২৬ সালে পুরোদস্তুর ই-২০ আনতে বছরে যে ১০০০ কোটি লিটারেরও বেশি ইথানল লাগবে, তার অর্ধেকের সূত্র হবে আখ।
এ দিন প্রশ্ন ওঠে, তেল আমদানির খরচ কমলেও ক্রেতা সেই ইথানল মিশ্রিত জ্বালানির জন্য কেন পেট্রলের চড়া দাম গুনবেন? কেন তেলের দাম কমবে না? সচিবের জবাব, এটি তেল মন্ত্রকের বিষয়। তাঁর কিছু বলার নেই।
এখন পেট্রলের সঙ্গে ১০% ইথানল মেশানো তেল চালু গাড়িতে ব্যবহার করা যায়। আগামী ১ এপ্রিল থেকে সব ই-২০ জ্বালানির জন্য উপযুক্ত যন্ত্রাংশের নতুন গাড়ি তৈরি শুরু হবে। ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে সব নতুন গাড়ির ইঞ্জিনই হবে ই-২০ব্যবহারের যোগ্য। উল্লেখ্য, ২০%-৮৫% ইথানল মিশ্রিত জ্বালানিকে ‘ফ্লেক্স ফুয়েল’ বলে। ধাপে ধাপে এর উপযুক্ত গাড়িও বাজারে আসবে।